অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের ঈশ্বর ভক্তির কথা কারোর আর অজানা নয়। তাঁর বাড়িতে নিয়ম মেনে প্রতিটি পুজোই হয়ে থাকে। এই বছরই টেলি অভিনেত্রী শ্রীয়য়ী চট্টরাজের সঙ্গে বিয়ে করেছেন কাঞ্চন। অভিনেতা-বিধায়কের বাড়িতে কালীপুজো যে হয় এটা অনেকেই জানেন, গত বছরও তাঁর বাড়ির পুজোতে দেখা গিয়েছিল শ্রীময়ীকে। তবে বিয়ের পর অফিসিয়ালি প্রথম কালীপুজো শ্রীময়ীর। কেমন তোড়জোড় চলছে তার সবটা জানালেন bangla.aajtak.in-কে।
শ্রীময়ী জানান যে কাঞ্চনের বাড়ির এই কালীপুজো তিনবছরের হলেও আগেও তাঁর বাড়িতে পুজো হত। কিন্তু দুটো দুর্ঘটনা ঘটার পর সেই পুজো বন্ধ করে দেন কাঞ্চন। শ্রীময়ীর কথায়, 'প্রথমে আমরা কালীপুজোর দিন খরাজদার বাড়ি যেতাম। তারপর কাঞ্চন পুজো শুরু করল। ২০১৮-১৯ সালে কালীপুজোর রাতেই কাঞ্চনের মায়ের গায়ে আগুন ধরে যায়। তারপরই পুজো বন্ধ করে দেয় কাঞ্চন। ওর মনে হয়েছিল যে মা হয়তো পুজো চাইছেন না।' পরে ২০২১ সালে অভিনেতার মা মারা যাওয়ার পর শ্রীময়ীর কথাতেই ফের বাড়িতে কালীপুজো শুরু হয়। তারকা-পত্নী নিজে কালীঘাটে গিয়ে মা কালীর মূর্তি পছন্দ করে আনেন। এখন গত তিনবছর ধরে সেই মূর্তিতেই পুজো হচ্ছে কাঞ্চনের বাড়িতে। কালীপুজোর আগে ধনতেরস। তবে স্বামীর কাছে কোনও উপহারের প্রত্যাশা করেন না শ্রীময়ী। কারণ এই দিনে নিজের জন্য নয়, বরং প্রতিমার জন্য সোনার গয়না কেনেন তিনি।
তবে এই বছর কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বাড়িতে খুব বড় করে কালীপুজো হচ্ছে না। খুব ছিমছামভাবেই পুজো করবেন তাঁরা। শ্রীময়ী জানিয়েছেন, কালীপুজোর সমস্ত জোগাড় হয়ে গিয়েছে, দশকর্মার জিনিস, লাইট, মায়ের সাজ-সজ্জা সবটাই কাঞ্চন নিজের হাতে কিনে এনেছেন। শাড়ি-গয়না সবই কেনা হয়ে গিয়েছে। প্রতি বছরই কাঞ্চনের বাড়ির মা সোনার গয়না, রূপোর গয়না অথবা সোনার জল করা গয়নায় সেজে ওঠেন। কাঞ্চন ও শ্রীয়য়ী দুজনেই নির্জলা উপোস করবেন। প্রতি বছরের মতো এই বছরও ভোগ রান্নার দায়িত্বে থাকবেন কাঞ্চন-পত্নী শ্রীময়ী। অন্নভোগ দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে কাঞ্চনের বাড়িতে। তাই মায়ের ভোগে থাকছে খিচুড়ি, লাবড়া, পাঁচ রকমের ভাজা, শাক, চাটনি, পায়েস, মিষ্টি ভোগ।
কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বাড়ির পুজো নিশিরাতে শুরু হয়, রাত দশটার পর পুজো শুরু হয় বলে জানান শ্রীময়ী। প্রতি বছর কালীপুজোতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজো থেকে ফিরে নিজের বাড়ির পুজোয় বসেন কাঞ্চন। গত বছর সঙ্গে ছিলেন শ্রীময়ী। এ বছর অবশ্য শ্রীময়ীর যাওয়া হবে না। কারণ কাঁধে রয়েছে ভোগের দায়িত্ব সহ পুজোর যাবতীয় কাজের দায়িত্ব। তবে শ্রীময়ী জানিয়েছেন কাঞ্চন এই বছরও দিদির পুজোতে যাবেন।