টলিপাড়ার পরিচিত মুখেদের মধ্যে অন্যতম হলেন অপরাজিতা আঢ্য। তাঁর অভিনয় যেমন দর্শকদের কাছে প্রশংসা পায় তেমনি সংসারটাও করেন খুব গুছিয়ে। অভিনেত্রী যে আধ্যাত্মিক তা বরাবরই নানান কাজের মাধ্যমেই প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। পুজোর আগেই পরিবারের সঙ্গে মহারাষ্ট্রে গিয়েছিলেন আর সেখান থেকে ফিরেই মহালয়ার সকালে অপরাজিতাকে দেখা গেল তর্পণে বসতে।
পরনে লাল-সাদা শাড়ি, মাথায় আঁচল দেওয়া, একেবারে সাদামাটাভাবে বাবার নামে তর্পণ করলেন অভিনেত্রী। বেহালার বাড়ির ছাদে পুরোহিত ডেকে তপর্ণের আচার পালন করলেন অভিনেত্রী। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন, দেবীপক্ষের প্রাক্কালে তর্পণ। মেয়েদের কাছে ‘বাবা’ মানেই ভালবাসা, আদর, খুনসুটি, বিশ্বাসের জায়গা। ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো খুবই মিস করেন অপরাজিতা। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাবাকে হারান অপরাজিতা। তারপর থেকে মা তাঁকে বড় করে তোলেন।
অপরাজিতা আঢ্যর আক্ষেপ বাবা তাঁর এই সফলতাকে দেখে যেতে পারলেন না। সেই মহালয়ার দিনই তর্পণ করলেন অভিনেত্রী। প্রতিবছর দুর্গাপুজোয় অপরাজিতা আঢ্যকে দেখা যায় মায়ের বরণ থেকে শুরু করে দশমীর সিঁদুর খেলা সবেতেই মেতে উঠতে। মায়ের বরণ থেকে শুরু করে যজ্ঞ, সবটা নিজে দায়িত্ব নিয়ে সামলে থাকেন তিনি। কলকাতা ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা থাকে না। এবারও তাই। তবে চলতি বছরে পরিস্থিতিটা একেবারেই অন্যরকম।
পুজোর আগেই পরিবারের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের তীর্থক্ষেত্রে ঘুরে এসেছেন। সেখান থেকে ছবি-ভিডিও শেয়ার করেন অভিনেত্রী। এক সংবাদমাধ্যমকে অপরাজিতা জানিয়েছেন যে এই বছর পুজোয় তিনি কিছুই কেনাকাটা করেননি। বাড়ির কাউকে কিছুই দেননি। ছোটদেরও না। তবে মায়ের পুজো অপরাজিতা করবেন একেবারে নিজের মতো করে। অভিনেত্রী একথা স্পষ্ট করে দিলেন, পুজো ঘিরে আলাদা কোনও মেজাজ-আমেজ কাজ করছে না তাঁর মধ্যে। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে একাধিকবার পথে নেমেছেন তিনি। আওয়াজ তুলেছেন বিচার চেয়ে। পাশাপাশি চালিয়ে গিয়েছেন কাজও। তবে যতই স্বাভাবিক জীবনে ফেরা যাক না কেন, কিছুতেই যেন মন মানছে না তাঁর। তাই এবারের পুজোটা তিনি মাতৃ আরাধানা করেই কাটাতে চান। বাড়তি কোনও উত্তেজনায় গা ভাসাতে চাইছেন না বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী।