কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে সবসময়ই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন মধুমিতা সরকার। পেশাগত দিক থেকে না হলেও ব্যক্তিগত দিক থেকে মধুমিতা কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে চর্চাতে থেকেই থাকেন। যেমন গণেশ পুজোর দিন অভিনেত্রী তাঁর বাড়ির পুজোর ছবি যেমন দিয়েছেন, তেমনি তাঁর দুটি ছবি ঘিরেও বিতর্ক দানা বেঁধেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মধুরিমার সিঁথিভর্তি সিঁদুর। আর তা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হতে হল অভিনেত্রীকে। তবে এবারে আর চুপ থাকেননি তিনি। বরং ভিডিও বার্তায় ট্রোলারদের ধুয়ে দিয়েছেন মধুমিতা।
শনিবার গণেশ পুজোর সকালে মধুমিতা বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। যেখানে মধুমিতা পরে রয়েছেন সাদা লাল রঙের শাড়ি, সঙ্গে ম্যাচিং ব্লাউজ। হাতে লাল রঙের চুড়ি, মাথায় তিলক এবং সিঁথিতে সিঁদুর পরা। প্রসঙ্গত, মধুমিতা ডিভোর্স অনেক বছর আগেই হয়ে গিয়েছে। পরিচালক-অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল অভিনেত্রীর। কিন্তু সেই সংসার টেকেনি তাঁদের। তাই ডিভোর্স হওয়ার পর মধুমিতা কেন সিঁদুর পরেছেন, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা।
অনেকেই মধুমিতাকে প্রশ্ন করেছেন যে তিনি কেন সিঁদুর পরেছেন। আবার কেউ কেউ প্রশ্ন করেন যে তিনি কি প্রাক্তন স্বামী সৌরভের নামেই সিঁদুর পরেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন তোমার বিয়ে হল কবে সিঁথিতে সিঁদুর। মোট কথা সকলেরই একই প্রশ্ন মধুমিতা কেন সিঁদুর পরেছেন। যদিও এইসব প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি মধুমিতা। অভিনেত্রী নিজের ছবির সঙ্গে গণেশ পুজো ও যজ্ঞ করার ভিডিও পোস্ট করেছেন। তবে এইসবের মধ্যেই ট্রোলারদের কড়াভাবে জবাব দিলেন মধুমিতা।
আসলে নায়িকাকে নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্যের পরিবর্তে নেতিবাচক আলোচনাই বেশি হয়ে থাকে। গণেশ পুজোর সকাল থেকেই তাঁকে ট্রোল করা হচ্ছে। আর এইসব বিষয় নিয়েই চটলেন মধুমিতা। মিষ্টি কথা নিন্দুকদের তুলোধনা করলেন নায়িকা। নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন মধুমিতা। যেখানে নিন্দুকদের একহাত নেওয়ার পর নিজের সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়ে দিলেন মধুমিতা। নায়িকা ভিডিওতে বলেন, 'আমি জানি না জীবন নিয়ে কী করব। এই যেমন এখন আমি ইংরেজিতে কথা বলছি অনেকেই প্রশ্ন করবেন কেন আমি ইংরেজিতে কথা বলছি। স্পষ্ট বাংলায় কথা বললে আমার অবাঙালি বন্ধুরা বুঝতে পারবেন না।'
মধুমিতার প্রত্যেকটি কথাতেই ছিল বিরক্তি। তিনি যদিও আধুনিক পোশাক পরেন তাতেও সমস্যা। আবার শাড়ি পরে ছবি দিলেও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। নায়িকা বলেন, 'ডিভোর্সি বলে প্রশ্ন ওঠে যে কেন আমি পুজো করছি? আমাদের মহিলাদের সব সময়.প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়।' শুধু তাই নয়, তিনি বলেন, 'কেউ যদি আমায় আক্রমণ করেন, কেউ বাজে ভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করে তখন বলা হয় ও তো ডিভোর্সি। কেন ডিভোর্সি মহিলার উপর এ সব করার অধিকার আছে বুঝি!' এরপরই মধুমিতা জানিয়ে দেন তাঁর সিদ্ধান্তের কথা। নায়িকা জানিয়েছেন , এখন থেকে তিনি আর মন্তব্য পড়বেন না। কেউ যদি ব্যক্তিগত ভাবে কোনও মেসেজ করে সঠিক মনে হলে নিশ্চয়ই উত্তর দেবে। শেষে অনুপম রায়ের গানের কথা ধার করে নায়িকা বলেন, 'আমাকে আমার মতো থাকতে দাও, আমি নিজেকে নিজের মতো গুটিয়ে নেব না।' মধুমিতা এই ভিডিও পোস্ট করে তার ক্যাপশনে লেখেন, একটি ডিভোর্স, যেটা আপনার দুনিয়া বদলে দেবে।