বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির গ্ল্যামারস অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম হলে রুক্মিণী মৈত্র। অন্যান্য অভিনেত্রীদের মতো অভিনেত্রীও স্বাস্থ্য সচেতন। কঠোর শরীরচর্চা করে থাকেন তিনি তাঁর ফিগার ধরে রাখতে। দেবের হাত ধরেই টলিউডে পা অভিনেত্রীর। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সিনেমায় তিনি অভিনয় করে টলিউডে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন। অপরদিকে তিনি আবার দেবের প্রেয়সীও বটে। সাধারণ মানুষ অভিনেতা অভিনেত্রীদের যেরকম ফিট দেখেন তাই তাঁদের ধারণা যে দৈনন্দিন জীবনে খুবই কঠোর খাদ্যাভাস এবং শরীরচর্চা করে থাকেন তাঁরা। কিন্তু বাস্তব জীবনে এমন অনেক বড় বড় তারকারা রয়েছেন যারা খাদ্যের কাছে সত্যিই দুর্বল। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন রুক্মিণী মৈত্র। ডায়েটের মধ্যেই তিনি তাঁর পছন্দের খাবার খেয়ে ফেলেন অনায়াসে।
অভিনেত্রী যে খাদ্যরসিক তা মোটামুটি সবাই জানে। তবে রুক্মিণীর আবার মিষ্টির প্রতি রয়েছে দুর্বলতা। মিষ্টি সামনে দেখলে নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না তিনি। চকোলেট কেক-কুকিজ এইসব খেতে খুবই ভালোবাসেন অভিনেত্রী। আসলে খেতে ভীষণ ভালোবাসেন অভিনেত্রী তাই শ্যুটিংয়ে যখন আসেন তখন তাঁর অন্যান্য ব্যাগের তুলনায় খাওয়াব ব্যাগটা বেশ বড় হয়ে থাকে। সেই ব্যাগে থাকে কাপকেক, কুকিজ, চকোলেট, কোটেড নাটস ইত্যাদি। তবে শ্যুটিংয়ে অভিনেত্রী এইসব একা খান না, সকলের জন্যই তাঁর ব্যাগ খোলা থাকে।
জাঙ্ক ফুড খেতে দারুণ ভালোবাসেন রুক্মিণী। পিৎজ্জা তাঁর খুবই প্রিয়। শোনা যায়, চ্যাম্প ছবির শ্য়ুটিংয়ের সময় অভিনেত্রীকে ব্রেকফাস্টে ব্রাউন ব্রেড দেওয়া হয়। কিন্তু সেই ব্রেড খাননি অভিনেত্রী। বরং তিনি হোয়াইট ব্রেডে বেশি করে মাখন ও চিনি দিয়ে খেয়েছিলেন। যে কোনও ছবির শ্যুটিং-এর সময়ই নাকি হঠাৎ হঠাৎ করে তাঁর চকোলেট কেক খেতে ইচ্ছা হয়। আর ইউনিটকে তাঁর সেই আবদারও মেটাতে হয় বলে জানা গিয়েছে। রুক্মিণী নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন যে তাঁকে দেখলে বোঝা যায় না কিন্তু তিনি খেতে খুব ভালোবাসেন।
রুক্মিণী মৈত্রের চেহারা দেখে আকর্ষিত হন অনেকেই। সে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। তাঁকে দেখলেই সকলের একটাই প্রশ্ন থাকে। তিনি নিজের এই তন্বী চেহারা ধরে রাখার জন্য কী কী করেন? সারা দিনে কী খাওয়াদাওয়া করেন? কত ক্ষণ সময় কাটান জিমে? তা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। কিন্তু তিনি যে খাদ্যরসিক তা অনেকেই জানেন। সম্প্রতি অভিনেত্রী তাঁর জিম করতে গিয়ে চকোলেট কেক খাওয়ার ইচ্ছা জাগে। যদিও সেই ইচ্ছা তাঁর পূরণ হয়েছে কিনা সেটা জানা যায়নি।
যতই ক্যামেরার সামনে তাঁর কাজ হওয়ার জন্য প্রিয় খাবার ত্যাগ করার পাত্রী তিনি নন। ব্যোমকেশ ছবির শুটিংয়ের জন্য কিছু দিন আগে মধ্যপ্রদেশে শুটিং করতে গিয়েছিলেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের একটি মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই মন্দিরের ঘিয়ের লাড্ডু পর্যন্ত না খেয়ে থাকতে পারেননি। অতএব বুঝতেই পারছেন কতটা খেতে ভালোবাসেন অভিনেত্রী।