আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে বেশ বিচলিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে শ্রীলেখাকে দেখা গিয়েছিল পথে নামতে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও প্রতিবাদে যেমন দেখা গিয়েছিল তেমনি যাদবপুরেও মেয়েদের রাত দখলের রাতেও শ্রীলেখাকে দেখা গিয়েছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে যা সব চলছে, সেইসব দেখার পর একেবারেই মন ভাল নেই শ্রালেখার। এই সময় তিনি তাঁর মা-বাবাকে খুব মিস করছেন। ফেসবুকে জানিয়েছেন তাঁর আর বাঁচার ইচ্ছা নেই।
শনিবার শ্রীলেখা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে প্রথমে লেখেন, 'কিচ্ছু ভাল লাগছে না। বাবা-মাকে চাই, আর বাঁচতে ইচ্ছে করছে না।' এরপরই শ্রীলেখা ফেসবুকে লাইভ ভিডিও করে তাঁর মনের অবস্থার কথা সকলের কাছে তুলে ধরেন। শনিবার সকালে লাইভ ভিডিওতে এসে শ্রীলেখা কেঁদে ফেলেন। অভিনেত্রী বলেন, 'আমার অনেকগুলি কথা, ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আমাকে অনেকেই অভিনন্দন জানিয়ে বা ধন্যবাদ জানিয়ে অনেকে সেগুলিকে শেয়ার করছেন। এটা শেয়ার হোক বা আমি বিশাল কিছু করছি এটা ভাববেন না প্লিজ। আমি কিছুই করছি না। একটু আবেগপ্রবণ বেশি আমি। বাবা মারা গেছেন তো তাই গাইড করার কেউ নেই আমায়।'
শ্রীলেখা আরও বলেন, 'আমার লজ্জা লাগছে আমার ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের নাটক দেখে। এটা বন্ধ করা উচিত। যাঁরা শাঁখ বাজিয়ে কেঁদে ভিডিয়ো করছে সেটা অন্যায় করছে। এই ধরনের ব্যবহার মৃতা এবং তাঁর পরিবারের প্রতি অশ্রদ্ধার প্রতীক। হাসি ঠাট্টা বন্ধ করা দরকার। দোষীরা যাতে শাস্তি পায় সেটা ভাবা উচিত। আমার লিডার হওয়ার স্বপ্ন নেই।' অভিনেত্রী আরও বলেন, 'যারা রেপিস্ট তারা হঠাৎ করে হয় না। এটা না অনেকদিন থেকেই বিষয়টা থাকে। আর রেপটা কোনও সেক্স বা অন্য কিছু। এটা হল একজন মহিলার ওপর পুরুষের নিয়ন্ত্রণ। ওই ডাক্তারের ওপর নিয়ন্ত্রণ দেখানোর জন্যই এই ধর্ষণটা করা হয়েছে।'
এর আগেও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য শোনার পর শ্রীলেখা বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। এই নিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখও খুলেছেন। তিনি বলেন, 'সরি টু সে সৌরভ গাঙ্গুলি। সৌরভ আমি সত্যিই দুঃখিত যে, তোমাকে মানুষ যেভাবে, তোমার দাদাগিরি, তোমার ক্রিকেট, তোমাকে মহারাজা, মানুষ তোমাকে যে আসনে বসিয়েছেন। তুমি এটাকে একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলছ। এইসব সোহম হর্লিক্সের পার্টি, তারা বলছে পুলিশ আছে বলেই শহরে মেয়েরা সুস্থ আছে। এই মানুষগুলোকে চেনার এটা মোক্ষম সময় এসে গিয়েছে। যে মানুষগুলোকে আমরা উপরে রেখেছি, তাঁরা মানুষ বলার যোগ্য নয়।' তাঁদের টেনে নামিয়ে আনো নীচে। নায়িকার এই বক্তব্যকে আবার সমর্থনও করেছেন অনেকে।