এই বছর ডবল প্রমোশন হল অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধাায়ের। একদিকে আবার প্রলয় সিরিজ দিয়ে প্রথমবার প্রযোজনার কাজে হাত পাকিয়েছেন আবার এই বছরই দ্বিতীয়বার মা হতে চলেছেন অভিনেত্রী। সব মিলিয়ে দারুণ ব্যস্ত এখন শুভশ্রী। এই সবের মাঝেই পুরীতে জগন্নাথ দর্শন সেরে আসলেন অভিনেত্রী, পরিচালক-স্বামী রাজের সঙ্গে। পুরী থেকে ফিরেই bangla.aajtak.in-এর সঙ্গে ফোনেই সাক্ষাৎকার দিলেন ইন্দুবালা তথা শুভশ্রী।
পুরী কেমন ঘুরলেন ?
শুভশ্রী: পুরী আসলে ঘোরার জন্য যাইনি, দর্শনে গিয়েছিলাম, ভাল দর্শন হয়েছে।
ইন্দুবালা প্রথম সিরিজ তোমার, যেখানে ৭৫ বছরের বৃদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করেছো তুমি, বড়পর্দার পাশাপাশি ওটিটিতেও তোমার কাজ প্রশংসিত, এটা কেমনভাবে উপভোগ করছেন ?
শুভশ্রী: খুবই ভাল লাগে, আমরা কাজ করি যাতে মানুষের ভাল লাগে তার জন্য। ইন্দুবালার পর যে সফলতাটা আশা করছিলাম সেটা পেয়েছি, সত্যিই ভীষণ ভাল লাগছে।
ইন্দুবালার পর ওটিটিতে আবারও নিশ্চয়ই কাজ করবেন?
শুভশ্রী: হ্যাঁ, অবশ্যই করব।
পুরস্কার না পারিশ্রমিক, কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ শুভশ্রীর জীবনে?
শুভশ্রী: দুটোই আমার জীবনে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পারিশ্রমিক যেটা আমার জীবিকা, যেটা আমার জীবন যাপন চালায় এবং পুরস্কার যেটা আমাকে অনুপ্রাণিত করে আরও ভাল কাজ করার জন্য।
অভিনয়ের পর তো প্রযোজনাতেও হাত পাকাচ্ছেন, আবার প্রলয়-এর তো টিজারও রিলিজ হল, অনুভূতি কেমন আপনার?
শুভশ্রী: ভীষণ ভাল লাগছে। খুব এক্সাইটেড। এটা খুব বড় একটি প্রজেক্ট। সকলে এটার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে। সবার এই উৎসাহ-আশা দেখে আরও মজা লাগছে।
এত তাড়াতাড়ি প্রযোজনার কাজে কেন চলে এলেন?
শুভশ্রী: এত তাড়াতাড়ি তো নয়, আমি ১৫ বছর ধরে কাজ করছি ইন্ডাস্ট্রিতে, বেশ অনেকটা সময় কাটিয়ে ফেলেছি এখানে। আমার মনে হয় এখন থেকে যদি শুরু না করি, তাহলে কাজটা শিখতে পারব না।
এখন সেভাবে শুভশ্রীকে বাণিজ্যিক ছবিতে দেখা যায় না, পুরোটাই অন্য ধারার ছবি, বাণিজ্যিক ছবিতে ফেরার ইচ্ছে কী নেই
শুভশ্রী: যদি ভাল স্ক্রিপ্ট পাই, যদি ভাল চরিত্র পাই তবে অবশ্যই বাণিজ্যিক ছবি করব আমি। আমি সবধরনের কাজ করতে চাই।
কাজের ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও ইউভানকে সময় দাও তুমি, কীভাবে ম্যানেজ করেন?
শুভশ্রী: এটা ম্যানেজ করার কিছু নেই। আমি মনে করি যে আমরা জীবনে যদি কোনও কিছু চাই যে এটা করব তাহলে সেটা আমরা করতে পারি। সেটা বিনা চেষ্টাতেই হয়। তো আমি চাই কাজটাও মন দিয়ে করব, আর অবশ্যই আমার পরিবার মোস্ট প্রায়োরিটি লিস্টে পরে, তাঁরা আমার কাছে সবকিছু। তাঁদের জন্য অতিরিক্ত সময় বের করা বা কাজের জন্য অতিরিক্ত সময়ে বের করা সবটাই ভীষণ সহজভাবে হয়ে যায়। তবে আমার পরিবারকে ধন্যবাদ দিতেই হবে যে আমি যখন কাজে যাই, ইউভানকে ওঁরা দেখে আর ইউভানও বোঝে যে মাকে এবার কাজে যেতে হবে।
ইউভান মায়ের কোনও সিনেমা কী দেখেছে?
শুভশ্রী: না, না এখনও কোনও সিনেমা দেখেনি। খুবই ছোট এখন।
ইউভান কে বকাঝকা করা হয়?
শুভশ্রী: ইউভানকে বকা দিই না, কারণ এটাতে বিশ্বাসী নই। ইউভানকে বোঝানোর চেষ্টা করি ওর বাউন্ডারি কতটা, এখন তো ইউভান খুবই ছোট, তাই যতটুকু পারা যায়, ততটুকু চেষ্টা করি।
আপনার ফিটনেস মন্ত্র কী?
শুভশ্রী: ফিটনেস হল তোমার নিজের লাইফস্টাইল কেমন সেটার ওপর নির্ভর করে।
বাঙালি মিষ্টি নাকি চকলেট-পেস্ট্রি?
শুভশ্রী: একেবারেই বাঙালি মিষ্টি খেতে ভালোবাসি
রাগ হলে কী করেন আপনি?
শুভশ্রী: রাগ হলে আমি চুপ করে যাই, ওই পরিস্থিতিটাকে এড়িয়ে যাই।
আপনার বদঅভ্যাস?
শুভশ্রী: ফোনটা সারাক্ষণ সাইলেন্টে রেখে দিই, সেই জন্য লোকে আমায় পায় না। এটা একটা মারাত্মক বদঅভ্যাস।