অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। কোটা সমস্যা মিটে যাওয়ার পরও বাংলাদেশে রক্তঝরা কমছে না। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অসহযোগ আন্দোলনে দেশজুড়ে জারি কার্ফু। ছাত্রদের এই আন্দোলনে পাশে রয়েছেন ওপার বাংলার তারকারা। তবে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদী হলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। বেশ কিছু ছবি-ভিডিও তিনি ইতিমধ্যেই পোস্ট করে নিজের মতামত জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে পড়ুয়াদের শান্তির মিছিলের মুহূর্ত শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন, গুলি চালালে আর ভালো হবে না। সাত কোটি মানুষকে আর দাবায়ে রাখতে পারবা না, বাঙালি মরতে শিখেছে, তাদের কেউ দাবাতে পারবে না…- বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন একথা। স্বস্তিকার এই দূর্ঘ পোস্টে ফুটে উঠেছে তিনি কতটা কাতর বাংলাদেশের এই অবস্থা দেখে। যে প্রজন্ম কে শাপশাপান্ত করেছে সকলে, তারা স্বার্থপর, তারাই সবচেয়ে বেশি স্বার্থত্যাগ করে দেখাচ্ছে। বলছে- ‘লাশের হিসাব কে দিবে? কোন কোটায় দাফন হবে?’ নজরুল ফিরে আসছেন ব়্যাপ মিউজিক হয়ে, ফিরে আসছে কাব্য, শ্লোগান, বলছেন স্বস্তিকা।
অভিনেত্রীর কথায়, বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসুক এক সঙ্গে সব বাঙালি যেন সোনার বাংলা গানটি গাইতে পারেন। এই রক্ত তিনি আর দেখতে পারছেন না। তবে এই পোস্টের পর স্বস্তিকাকে ট্রোল করতে ছাড়েননি নেটিজেনরা। স্বস্তিকাকে অনেকেই কমেন্টে লেখেন, দেবী দুর্গার মূর্তি যে দেশে ভাঙা হয় সেই দেশ নিয়ে এত আদিখ্যেতা কেন। অনেকে আবার লেখেন, এই রাজ্যের শিক্ষকদের নিয়ে কেন কিছু বলেন না। তবে এইসব ট্রোলারদের পাত্তা দিতে খুব একটা রাজি নন স্বস্তিকা।
শুধু তাই নয়, শহিদ মিনারে মোমবাতি মিছিলের ভিডিও পোস্ট করে স্বস্তিকা লেখেন, সোনার বাংলা আমাদের সোনার বাংলা ওদেরও তাহলে ওদের প্রতিবাদ আমাদের হবে না কেন ? প্রতিবাদের ভাষা এমন হোক। এই মুহূর্তে কলকাতায় নেই স্বস্তিকা। মেয়ে অন্বেষার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য ব্রিটেন গিয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু বিদেশ থেকেই তিনি একাধিক সংবাদমাধ্যমে জানতে পারছেন বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা। আর সেই কারণে মন একেবারেই ভাল নেই তাঁর। কিছুমাস আগেই স্বস্তিকা বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। সেখানকার আদর-আপ্যায়নে মুগ্ধ স্বস্তিকা। দেখা করেছিলেন শেখ হাসিনার সঙ্গেও। কিন্তু এরপরই যে এই বাংলাদেশের এমন রূপ দেখতে হবে তা ভাবতেও পারেননি।