টলিউডে বরাবরই ঠোঁটকাটা হিসাবেই পরিচিত অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। বাঁচেন একেবারে নিজের শর্তে, নিজের মতো করে। সমাজের তথাকথিত নিয়মের বাইরে গিয়ে স্বস্তিকা তাঁর নিজস্ব রুলসকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। গত ৯ অগাস্ট আরজি কর-কাণ্ডের পর রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। নির্যাতিতা চিকিৎসকের বিচার চেয়ে গলা ফাটিয়েছেন স্বস্তিকা। তবে তা নিয়ে কম ট্রোলের মুখে পড়তে হয়নি তাঁকে। কিন্তু ট্রোলিংয়ের পাল্টা জবাব দিতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। স্বস্তিকার শরীর নিয়েও ট্রোলিং কম হয়নি। ফের নিন্দুকদের একহাত নিলেন টেক্কা অভিনেত্রী। দিলেন মোক্ষম জবাব।
মেয়েদের বাসে-ট্রেনে সবসময়ই পোশাক নিয়ে, কখনও বা শরীরের কোনও অঙ্গ দেখা গেলে তা নিয়ে সমালোচনা করতে কেউ ছাড়ে না। স্বস্তিকা সেই সব আলোচনা-সমালোচনা-নিন্দার জবাব দিলেন। কার্টুনের মাধ্যমে স্বস্তিকা ক্লিভেজ নিয়ে মোক্ষম দাওয়াই দিলেন। তিনি চারটে কার্টুন পোস্ট করে বুঝিয়ে দেন যে মেয়েদের ক্লিভেজ দেখা গেলেও সেটা কখনও আলোচনার বিষয়বস্তু হতে পারে না। নিজেদের মানসিকতাকে বদলান, এটাই ছিল স্বস্তিকার বার্তা। অভিনেত্রী এই পোস্ট শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, নির্লজ্জদের লজ্জা হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, স্বস্তিকাকে প্রায়ই তাঁর শরীর নিয়ে খারাপ মন্তব্যের মুখে পড়তে হয়। কখনও তাঁর হাত নিয়ে আবার কখনও বা তাঁর ক্লিভেজ দেখানো নিয়ে। কিন্তু স্বস্তিকা এইসব কিছু নিয়ে কখনই সেভাবে প্রতিবাদ করেন না। তবে মাঝে মাঝেই তিনি প্রতিবাদে সরব হন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে ফেলেন নিজের মনের কথা। স্বস্তিকাকে দেখা গিয়েছে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব হতে। মেয়েদের রাত দখল থেকে শুরু করে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে স্লোগান তুলেছেন অভিনেত্রী। বরাবর স্পষ্টবাদী স্বস্তিকা সরব হয়েছেন যে কোনও পরিস্থিতিতে।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকা এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রেখেছিলেন স্বস্তিকা। সেখান থেকেই অভিনেত্রী বলেছিলেন, 'একজন মহিলাকে গালাগাল দেওয়া হলে সবথেকে শ্রেষ্ঠ গালাগাল বেশ্যা কথাটা। আমরা যাঁরা সিনেমা জগতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি, তাঁদের বলাই হয় বেশ্যাবৃত্তি করে কেরিয়ার তৈরি করে। সিনেমা জগতে আমার ২৪ বছরের কেরিয়ারে এত বার আমায় বেশ্যা বলা হয়েছে যে আর এখন গায়ে লাগে না। সব গা সওয়া হয়ে গেছে। শুধু আমি নই, আমার মতো হয়তো এরকম কথা অনেকেই শুনেছেন'। বুধবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকা এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন স্বস্তিকা। সেখান থেকেই অভিনেত্রী বলেন, 'একজন মহিলাকে গালাগাল দেওয়া হলে সবথেকে শ্রেষ্ঠ গালাগাল বেশ্যা কথাটা। আমরা যাঁরা সিনেমা জগতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি, তাঁদের বলাই হয় বেশ্যাবৃত্তি করে কেরিয়ার তৈরি করে। সিনেমা জগতে আমার ২৪ বছরের কেরিয়ারে এত বার আমায় বেশ্যা বলা হয়েছে যে আর এখন গায়ে লাগে না। সব গা সওয়া হয়ে গেছে। শুধু আমি নই, আমার মতো হয়তো এরকম কথা অনেকেই শুনেছেন'।
স্বস্তিকা আরও বলেন, 'গত কয়েক বছরে নতুন ধরনের কটাক্ষ এসেছে মার্কেটে। মেয়েদের নিয়মিত স্লাট শেমিং করা হয়। এখন লোকজন কাকিমা, আন্টি, মাসিমা, এসবকে গালাগাল বলে ধরে নিচ্ছে। এখনও বুঝে উঠতে পারি না সম্পর্কের এই নামগুলো কী করে গালাগাল হিসেবে ধরে নিচ্ছে। রোজ সকালবেলা এসব গালাগাল শুনছি অথচ এখনও দিদি শব্দটা কেউ গালাগাল হিসেবে দেখছে না। এটাও কবে গালাগাল হয়ে উঠবে জানা নেই।' প্রসঙ্গত, আজাদি স্লোগান স্বস্তিকার গলায় শোনা যাওয়ায় তাঁকে নিয়ে কম আলোচনা হয়নি।