স্ত্রী শ্রীময়ীর জন্মদিনের পরের দিনই হানিমুনের জন্য বেড়িয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন। বিয়ের পাঁচমাস কেটে যাওয়ার পরও কাঞ্চন তাঁকে নিয়ে হানিমুনে যাননি এই অভিযোগ বরাবরই ছিল শ্রীময়ীর। তবে এবার জন্মদিনের পরের দিনই পেলেন সেই সারপ্রাইজ। স্ত্রী শ্রীময়ীকে নিয়ে সোজা মলদ্বীপে উড়ে গিয়েছেন কাঞ্চন। আর সেখানেই রয়েছেন বিলাসবহুল রিসর্টে। যার ঝলক শেয়ার করেছেন শ্রীময়ী।
সোমবারই মলদ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বেঙ্গালুরু হয়ে মলদ্বীপে পৌঁছান তাঁরা। হানিমুন সফরের ছোট ছোট ঝলক শ্রীময়ী সোশ্যাল মিডিয়া পেজে শেয়ার করে নিয়েছেন তাঁর ভক্তদের সঙ্গে। মলদ্বীপে পৌঁছেই বর কাঞ্চনকে নিয়ে সোজা পুলের জলে রোম্যান্স করতে দেখা গেল শ্রীময়ীকে। লাল রঙের বিকিনি পরে নিজের রুমের সামনে থাকা পুলের জলে নামলেন শ্রীময়ী। যে ছবি সোশ্যালে শেয়ার করেছেন সেখানে শ্রীময়ীকে দেখা গিয়েছে সমুদ্রের দিকে পিঠ করে পুলের জলে। দুধ সাদা পিঠ থেকে নজর সরানো বেশ মুশকিল। শ্রীময়ী একা নন, বর কাঞ্চনকে নিয়েই স্যুইমিং পুলের জলে নেমেছেন তিনি। মলদ্বীপে হানিমুন যে দারুণভাবে উপভোগ করছেন শ্রীময়ী-কাঞ্চন তা বলাই বাহুল্য।
মলদ্বীপ পৌঁছেই হোটেলের ঘর থেকে ভিডিও পোস্ট করেছেন শ্রীময়ী। দেখা যাচ্ছে বিছানার সামনেই রাখা শ্রীময়ীর জন্মদিনের কেক। আর সেখানেই শ্রীময়ীর জন্মদিনের দ্বিতীয় পর্ব পালন হয়। বাথরব পরে কেক কাটতে দেখা যায় শ্রীময়ীকে, সেই কেক কাঞ্চনকে খাওয়ান অভিনেত্রী। এইসব বন্দোবস্ত কাঞ্চনই যে করেছেন তা বলাই বাহুল্য। রবিবারই জন্মদিন ছিল শ্রীময়ীর। রাত ১২টা বাজতেই মা-বাবা ও কাঞ্চনকে পাশে নিয়ে জন্মদিনের কেক কেটেছেন শ্রীময়ী। কাঞ্চনের থেকে পেয়েছেন দামী হাতঘড়ি। তবে হানিমুনে মলদ্বীপে নিয়ে যাওয়াটাও ছিল কাঞ্চনের পক্ষ থেকে শ্রীময়ীকে উপহার।
এখন বেশ কয়েকটা দিন মলদ্বীপেই কাটাবেন টলিপাড়ার এই চর্চিত জুটি। বিয়ের পর পরই কাঞ্চন ও শ্রীময়ী যে যাঁর কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া হয়নি সেভাবে। মাঝে অবশ্য তাজপুর গেলেও, সেখানে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব ছিল তাঁদের। কিন্তু মলদ্বীপে একেবারে একান্তে সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। শ্রীময়ী সোমবার ছবি পোস্ট করে লেখেন, অবশেষে অপেক্ষা শেষ। হানিমুনের সময় শুরু।