পুজোর আগে আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়। সেই সময়ই জানা গিয়েছিল যে পরিচালকের হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে, বাইপাস সার্জারি করাতে হবে। এরপর চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজোতে অংশ নিলেও সেভাবে আর তাঁকে বিভিন্ন নিয়মের মধ্যে দেখা যায়নি। সুদীপা জানিয়েছিলেন যে পুজোর পরই বাইপাস সার্জারি হবে অগ্নিদেবের। রবিবারই রান্নাঘরের সঞ্চালিকা জানান যে তাঁর স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে, সবাই যেন প্রার্থনা করেন। সোমবার সকালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে আলিপুরের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। প্রায় চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বাইপাস সার্জারি হয়েছে অগ্নিদেবের। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে, তবে জ্ঞান ফেরেনি বলেই জানিয়েছেন সুদীপা।
প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুজোর দিনই হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অগ্নিদেব। বমি করতে শুরু করেন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হৃদ্যন্ত্রে দুটি আর্টারিতে ব্লকেজ ধরা পড়ে পরিচালকের। সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। একটা লম্বা সময় ধরে চলে অস্ত্রোপচার। সুদীপা এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে অগ্নিদেবের জ্ঞান ফেরেনি। মঙ্গলবারও জ্ঞান ফিরবে না। কারণ এত বড় একটা অস্ত্রোপচার হয়েছে। আপাতত বেশ কয়েকটা দিন হাসপাতালেই থাকবেন অগ্নিদেব। সুদীপা ও পরিচালকের বড় ছেলে মিলেই যাবতীয় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, অষ্টমীর রাতে সুদীপা ও অগ্নিদেবের পরিবারে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায়। তাঁদের প্রিয় পোষ্য বাঁটুল মারা য়ায় আচমকাই। সাত বছর বয়স হয়েছিল বাঁটুলের। অগ্নিদেবের খুবই প্রিয় ছিল বাঁটুল। তাঁকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন অগ্নিদেব। যার প্রভাব পড়েছিল পরিচালকের শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর। এরপরই লক্ষ্মীপুজোর দিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।