টলিউডের ব্যস্ততম পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। পুজোতে পরিচালক ব্যস্ত ছিলেন তাঁর ছবি টেক্কা নিয়ে। তবে ছবি পরিচালনার পাশাপাশি সৃজিতের অবসর সময় কাটে তাঁর পোষ্যদের নিয়েই। আর পরিচালকের পোষ্যরা যে সে নয়, একেবারে খাস। সৃজিত তাঁদের রীতিমতো চোখে হারায় তাদের। আর এবার বাড়ির সেই পোষ্য সাপদের ছেড়ে সুদূর লন্ডনে গিয়ে সাধের সাপদের সঙ্গে সময় কাটালেন পরিচালক।
চলতি বছরটা সৃজিতের কেটেছে ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই। একদিকে ছিল টেক্কা ছবির প্রচার ও ছবি মুক্তির পর বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহ ও পুজো মণ্ডপে গিয়ে মানুষের সঙ্গে ছবি নিয়ে কথাবার্তা। আর তার মাঝেই চলছে পরিচালকের পরবর্তী ছবি সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই ছবির সম্পাদনা। এইসব ব্যস্ততার মধ্যেই একটু ফাঁক পেয়েই সৃজিত পাড়ি দিয়েছেন লন্ডনে। আর সেখানে গিয়েই সাপেদের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গেল সৃজিতকে। কখনও অজগর জাতীয় একটি সাপকে গলায় জড়িয়ে নিয়েছেন আবার সেই সাপের মাথায় দিচ্ছেন স্নেহ চুম্বন। তবে সৃজিত যে লন্ডনে কোনও সাপের মিউজিয়ামে গিয়েছেন তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
সৃজিতের বাড়িতে রয়েছে ৫টি বল পাইথন। তাদের সৃজিত নিজের মেয়ের মতো করেই দেখে। যার একটির নাম উলুপী আর দ্বিতীয়টির নাম নাগিন। বাকিদের নাম জানা যায়নি। পরিচালকের সাপের প্রতি এই প্রেম ছোটবেলা থেকেই। আদরে সোহাগে সেই সাপশিশুদের বড় করে তুলছেন সৃজিত। গত বছরই সৃজিত তাঁর বাড়িতে উলুপীকে এনে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন। উলুপীকে নিয়ে কখনও সৃজিত চলে যান শ্যুটিংয়ে আবার কখনও বা তাকে নিয়ে বিছানায় ঘুমোন। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতেই উলুপিকে বাড়িতে আনেন সৃজিত।
‘উলুপী’ শব্দের অর্থ কী? ‘মহাভারত’ ছাড়াও ‘বিষ্ণু পুরাণ’ এবং ‘ভাগবত’-এ নাগকন্যা উলুপীর উল্লেখ রয়েছে। কথিত আছে, বনবাসে থাকাকালীন অর্জুনের সঙ্গে উলুপীর বিবাহ হয়। সেই নামই রাখা হয়েছে পরিচালকের পোষ্যের। সৃজিত সেই সময় এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে সাপ পোষার কোনও ঝক্কি নেই। তিনি ছোটবেলা থেকে সাপখোপ সামলাতে পারেন। অনেকেই ইতিমধ্যে সৃজিতের বাড়িতে গিয়ে উলুপির দর্শন করে এসেছে। সৃজিতের কথায়, তাঁর সাপে কোনও ভয় নেই। এই উপমহাদেশে সাপ নিয়ে যে কুসংস্কার রয়েছে তা মোটেও ভাল লাগে না তাঁর। লন্ডনে নিছকই কাজের সূত্রেই গিয়েছেন সৃজিত। আর ফাঁক পেয়েই ছুটে গিয়েছেন সাপেদের এই মিউজিয়ামে।