টলিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী তাঁর পেশাগত জীবনের তুলনায় ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অধিক মাত্রায় চর্চায় থাকেন। অভিনেত্রীর মতো তাঁর ছেলে ঝিনুককে নিয়েও চর্চা কম নয়। বিশেষ করে শ্রাবন্তীর ছেলের লাভ লাইফ নিয়ে সকলের কৌতুহল তুঙ্গে। দু'বছর আগেই ঝিনুকের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসে। বেশ কিছু বছর ধরেই ঝিনুক প্রেম করছেন মডেল দামিনী ঘোষের সঙ্গে। শ্রাবন্তীর সঙ্গেও হবু পুত্রবধূর সম্পর্ক বেশ ভালো। আসুন চিনে নিন ঝিনুকের গার্লফ্রেন্ডকে।
দামিনী একজন পেশাদার মডেল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ফলোয়ার্সের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ছোট্ট ঝিনুক এখন অনেকটাই বড়, চুটিয়ে প্রেম করছেন এই মডেলের সঙ্গে। লাস্যময়ী শ্রাবন্তীর মতোই সুন্দর তার হবু বউমা। নেট দুনিয়ায় তাঁর সাহসী অবতারের ছবি রীতিমতো ঝড় তোলে। শরীরী সৌন্দর্যে বলি নায়িকাদেরও টেক্কা দিতে প্রস্তুত অভিমন্যুর প্রেমিকা।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ অ্যাক্টিভ দামিনী। ফ্যানবেস ধরে রাখতেও যে তিনি সিদ্ধহস্ত তা ইনস্টা অ্যাকাউন্ট দেখলেই প্রমাণ মিলবে। কলকাতারই মেয়ে দামিনী। এই শহরেই ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠা তাঁর। প্র্যাট মেমোরিয়াল স্কুলের পড়ুয়া দামিনী। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তাঁর বিকিনি থেকে খোলামেলা পোশাকের সব ছবি নজরে পড়বে। ২০২১ সালের গোড়াতেই ঝিনুকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা ঘোষণা করেছিলেন ঝিনুক।
দামিনীর সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে আপনার চোখ সরতে চাইবে না। বোল্ড অবতারের একাধিক ছবি-ভিডিও পোস্ট করেন দামিনী। কখনও লাল বিকিনিতে পুরুষ হৃদয়ে ঝড় তোলেন আবার কখনও বা সুইমিং পুলের জলে আগুন ধরান তিনি। দামিনী শ্রাবন্তীর ছেলে ঝিনুকের সঙ্গে প্রেম করার পাশাপাশি শুভশ্রীর দিদির ছেলেরও খুব ভালো বন্ধু তিনি। শ্রাবন্তীর বাড়ির গণেশ পুজোর সময় শুভশ্রীর বোনপের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছিলেন। তিনি ও দামিনী বেস্টি।
একাধিক ব্র্যান্ডের হয়ে মডেলিং করেছেন দামিনী। সাহসী ফোটোশুটে নিজের শরীরী উষ্ণতাকে সকলের সামনে মেলে ধরেছেন দামিনী। মা শ্রাবন্তীর সঙ্গে দামিনীর সম্পর্ক যে ভালো তা বোঝাই যায়। পুজোর সময়ই দামিনী ও ছেলে ঝিনুককে নিয়ে থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন শ্রাবন্তী। একসঙ্গে ডিনার থেকে শুরু করে দামী উপহার সবই দামিনী পান হবু শাশুড়ির থেকে।
দামিনীর শরীরী জাদুর নেশায় বুঁদ নেটপাড়া। তাঁর এক ঝলক পেতে সকলেই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুঁ মারেন। বহু বছর ধরেই দামিনী-ঝিনুক প্রেম করছেন। তাঁদের কীভাবে আলাপ সেটা জানা যায়নি। তবে ঝিনুকের পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যে ভালো সেটা বোঝাই যায়।