পর পর কিছু উৎসব গেল। আর উৎসব শেষ হওয়া মানেই তারকাদের ঘরোয়া পার্টির মরশুম শুরু। সেরকমই রবিবার পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে ছিল ঘরোয়া আড্ডার আয়োজন। যেখানে দেখা গেল সস্ত্রীক অনুপম রায়, শ্রীজাত ও তাঁর স্ত্রী, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ও জয় সরকার। আর এই রবিবাসরীয় আড্ডা যে গান ছাড়া অসম্পূর্ণ তা বলাই বাহুল্য। তবে সৃজিতের বাড়ি মানেই তাঁর আদরের পোষ্য বল পাইথন। আর তাদের আদর করার জন্য সাহস দেখিয়ে ফেললেন শ্রীজাত। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছেন কবি নিজে।
সৃজিত যে বহুদিন ধরেই তাঁর বাড়িতে বল পাইথন পুষছেন এ কথা সকলেরই জানান। এই বছরই পরিচালক বাড়িতে প্রথম আনেন উলুপীকে। এছাড়াও রয়েছে আর খান কয়েক বল পাইথন। সব নিয়ম-রীতি মেনেই সৃজিত বাড়িতে সাপ পুষছেন। অনেকেই এদেরকে দেখতে পরিচালকের বাড়িতে হানা দেন। রবিবার সৃজিতের মিউজিক্যাল ঘরোয়া আড্ডাতেও শ্রীজাতর হাতে দেখা গেল সৃজিতের পোষ্য দুই সাপকে। এদিনের গান-গল্পের আড্ডাতেই সৃজিতের সন্তানদের হাতে নিয়ে শ্রীজাত আদুরে পোজ দিলেন। তাঁর হাতে দেখা গেল বিষকন্যাদের।
শ্রীজাত তাঁর নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে এই দুটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে তাঁর হাতে ধরা আছে সৃজিতের আদরের নাগকন্যারা। শ্রীজাতর হাতে দেখা গেল সাদা ও হলুদ রঙের বল পাইথনকে। মুখে হাসি, একটুও ভয় দেখা যাচ্ছে না তাঁর চোখেমুখে। আর সেসব ছবির সঙ্গে ক্যাপশনও মজার। শ্রীজাত লিখলেন- ‘সাপে বর ও সাপমোচন… সাপসূত্র- সৃজিত মুখোপাধ্যায়।’ আর এই এক ছোবলে ছবির নেপথ্যে কে? অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। এই ছবি দেখে শ্রীজার কমেন্ট বক্সে অনেকেই লেখেন, দুধ-কলা দিয়ে পুষবেন নাকি। আবার অনেকে পরিচালকের বাকি সাপদের খোঁজ নিয়েছেন। রবিবারের আড্ডায় জয় সরকারের সঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল লোপামুদ্রারও। কিন্তু শ্রীজাতর হাতে সাপ দেখে গায়িকা লেখেন, ভাগ্যিস যাইনি।
সৃজিত এদিন ঘরোয়া আড্ডার ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, মাংস, মিউজিক আর সঙ্গে আরও কিছু....। প্রসঙ্গত, সৃজিতের সাপ পোষার ইচ্ছা ছিল বহুদিনের। বন দপ্তর থেকে যাবতীয় অনুমতি নিয়ে এবং নথিপত্র সমেত আমাজন থেকে আনা পাইথনকে বাড়িতে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। এদেরকে নিয়ে সৃজিত কখনও শ্যুটিং ফ্লোরে আবার কখনও বা লোকেশন রেইকি করতে যান। আবার কখনও বা এক বিছানাতেই ঘুমোন সৃজিত ও উলুপী।