টলিপাড়ায় পাওয়ার কাপল হিসাবেই পরিচিত ছিলেন যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা। প্রেম করেই বিয়ে করেন। কিন্তু ২০ বছরের দাম্পত্য জীবনে এভাবে যে চিড় ধরবে তা মোটেও ভাবতে পারেননি যিশু-পত্নী নীলাঞ্জনা। তাও আবার তারই বন্ধু শিনাল সুর্তি ঘর ভাঙবে তা একেবারেই ভাবনার বাইরে ছিল, শোনা যাচ্ছে এমনই কথা নীলাঞ্জনা তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে বলছেন। আর এই গুজরাতি মেয়ের কারণেই যিশু-নীলাঞ্জনার দাম্পত্যে ভাঙন। এমনকী এক ছাদের তলাতেও থাকেন না তাঁরা।
টলিপাড়ার অন্দরের খবর, অভিনেতা যিশু এখন থাকছেন তাঁর পুরনো গল্ফ গার্ডেনের বাড়িতে। নীলাঞ্জনা ও তাঁর দুই মেয়ে ও শ্যালিকা চন্দনার সঙ্গে অভিনতোর কোনও কথা হয় না। এমনকী সারার সম্প্রতি এক ইভেন্টেও দেখা মেলেনি যিশুর। কলকাতায় থাকলেও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না যিশু। টলিপাড়ার কানাঘুষো অনুযায়ী, যিশুর কাজকর্ম গত পাঁচ বছর ধরে দেখাশোনা করছেন এই গুজরাতি কন্যা শিনাল। যিনি একসময় সুস্মিতা সেনের সঙ্গে কাজ করতেন।
যিশু তাঁর এই ম্যানেজারের সঙ্গেই নাকি সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। মুম্বইতে নাকি যিশু-শিনাল একসঙ্গে লিভ-ইনও করতেন। নীলাঞ্জনার বন্ধুমহল এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে শিনাল সুর্তিকে নীলাঞ্জনা তাঁর বন্ধু হিসাবেই ভাবতেন। বাড়িতেও যাতায়াত ছিল। মেয়েরাও চিনতেন শিনালকে। কিন্তু সেই শিনালই যে যিশুর সঙ্গে প্রেম করছেন তা মোটেও বুঝতে পারেননি নীলাঞ্জনা। তাই এই খবর কানে আসতেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। কিছুদিন আগেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নীলাঞ্জা। শোনা গিয়েছিল যে তাঁর নার্ভাস ব্রেকডাউন হয় এবং তারপরই হাসপাতালে ভর্তি হন।
মেয়ের ঘর ভাঙার খবরে ভেঙে পড়েছেন নীলাঞ্জনার বাবাও। তিনি কদিন আগেই স্ত্রী অঞ্জনা ভৌমিককে হারিয়েছেন। তবে নীলাঞ্জনার বোন চন্দনা দিদির পাশে রয়েছেন। জানা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই নীলাঞ্জনা যিশুকে ডিভোর্সের নোটিস পাঠাবেন। এই সময় নীলাঞ্জনার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মহুয়া। অন্দরের খবর, যিশুর খুব ভাল বন্ধু সৃজিতও তাঁদের সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ইতিমধ্যেই নীলাঞ্জনা তাঁর পদবী সেনগুপ্ত সরিয়ে দিয়েছেন। যিশুকেও আনফলো করেছেন। অপরদিকে, মায়ের মতো সারাও বাবা যিশুকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আর ফলো করছেন না।