ছেলে সদাই ব্যস্ত অভিনয় ও রাজনীতি নিয়ে। তবে সময় পেলেই মা মৌসুমী অধিকারীকে সময় দিতে ভোলেন না। কারণ টলিউড সুপারস্টার যতনা স্ট্রাগল করেছেন তার চেয়ে বেশি খারাপ সময় দিয়ে গিয়েছে তাঁর মা-বাবা। তাঁদের আশীর্বাদ নিয়েই আজ বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে সকলের পছন্দের নায়ক হয়ে উঠেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, রাজনীতির ময়দানেও আজ তিনি সফল। তবে এত সফলতার মাঝেও মাকে সময় ঠিক দেন। আর তা নিয়ে মা মৌসুমী অধিকারীর কোনও অভিযোগও নেই। ছেলে আজ সফল আর তাঁর সফলতায় গর্বিত মা।
কথা হচ্ছে অভিনেতা দেবকে নিয়ে। যিনি এই বছরের লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন। দশ বছরের সাংসদ, এর পাশাপাশি দেব সিনেমার কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন। খুলেছেন প্রযোজনা সংস্থাও। কিন্তু আগে এতটা মসৃন পথ ছিল না দেবের। অভিনেতাকে অনেক সংঘর্ষ করে এই জায়গায় আসতে হয়েছে। অভিনেতা জানান কীভাবে নিজে স্ট্রাগল করেছেন। তাঁর থেকেও বেশি তাঁর বাবা মা। যেভাবে তারা তাঁকে বড় করে তুলেছেন, সেটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
দেবের মা সাধারণ গৃহবধূ। অন্য পাঁচজন মায়ের মতো ছেলে দেবকে বড় করেছেন। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে দেব বলেন, জীবনের সবথেকে বড় সাপোর্ট সিস্টেম তাঁর মা বাবা। যেভাবে লালন পালন করেছেন, তাতে এটুকু বোঝা যায় যে আমি যদি স্ট্রাগল করে থাকি তাহলে ওরা জাহান্নাম দেখেছেন। আমি সেই জন্যই নিজের থেকেও বেশি ওঁদের নিয়ে ভাবি। নিজের জীবনের প্রথম উপার্জন করা টাকাও বাবার নামে নিয়েছিলেন তিনি। দেব জানান যে নিজের প্রথম বাংলা ছবির আগে তিনি মুম্বইয়ের মিউজিক ভিডিওতে কাজ করতেন। সেভাবেই তিনি বেশ কিছু টাকা উপার্জন করেছিলেন। সেই টাকার চেক পান বাবার নামে।
প্রথম উপার্জনের টাকা দিয়ে মাকে শাড়ি কিনে দিয়েছিলেন দেব। টলিউডের শীর্ষ অভিনেতার মা হওয়া সত্ত্বেও মৌসুমী অধিকারী থাকেন একেবারে সাদামাটা ভাবেই। তারকা সন্তানের মা বলে তাঁকে মনেই হবে না। মাঝে মাঝেই ছেলের সঙ্গে শ্যুটিংয়ে চলে যান মা মৌসুমী অধিকারী। শ্যুটিংয়ের ফাঁকেই চলে ছেলের সঙ্গে সময় কাটানো। প্রধান ছবির শ্যুটিংয়ের সময়ও ছেলে দেবের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁর মা মৌসুমী অধিকারীকে।