আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আম জনতার পাশাপাশি প্রতিবাদে নেমেছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির তারকারা। রবিবার আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে টলিউড তারকাদের প্রতিবাদ মিছিলে দেখা গিয়েছিল একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। বাদ ছিলেন না শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ও। কোনওদিনই তাঁর গায়ে রাজনীতির রং চড়েনি। সুতরাং যে কোনও বিষয়েই তিনি মুক্ত কন্ঠে প্রতিবাদ জানিয়ে থাকেন। বাবার মতোই হয়েছে মেয়ে হিয়াও। আরজি কর-কাণ্ডে একেবারে নিজের মতো করেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার শাশ্বত-কন্যা হিয়া জানালেন এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে ঠিক কী করা দরকার।
এমনিতে লাইম লাইট থেকে দূরেই থাকেন হিয়া। পড়াশোনা ও নাচ নিয়েই মত্ত থাকেন। তবে আরজি করে ঘটনা তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা তাঁকেও নাড়া দিয়েছে প্রচণ্ডভাবে। সোশ্যল মিডিয়ায় হিয়া প্রতিদিনই কোনও না কোনও পোস্ট করেছেন এই আরজি করের ঘটনা নিয়ে। এবার ইনস্টাগ্রামে হিয়া জানিয়ে দিলেন এরকম পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে ঠিক কেমন আচরণ করা উচিত। হিয়া তাঁর ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে পোস্ট করে লিখেছেন, আমাদের কী করা উচিত? এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া উচিত। ক্রমাগত পোস্ট করা, মৃত তরুণীর জন্য বিচারের দাবি করা, ধর্ষণ নিয়ে কড়া আইনের দাবি করা এবং মহিলাদের ঘেরাটোপে না রেখে বরং তাঁদের নিরাপত্তা জোরালো করার দাবি। এর আগেও হিয়াকে ১৪ অগাস্টের রাত দখলের কর্মসূচি নিয়েও পোস্ট করতে দেখা যায়।
সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াশোনা করছেন হিয়া। সঙ্গে নাচও শেখেন তিনি। খুব সুন্দর নাচ করেন শাশ্বত-কন্যা। ইন্ডাস্ট্রির কোনও পার্টিতে হিয়াকে দেখা যায় না। তবে তাঁর সৌন্দর্য এতটাই যে টলিউড অভিনেত্রীদেরকেও হার মানাবে। দেখতেও যেমন সুন্দর গুণেও কিন্তু কোনও অংশে কম যান না তিনি। বাবা স্টার হলেও হিয়া কিন্তু অভিনয়ে যাবেন বলে এখনও কিছু মনস্থির করেননি। সোশ্যাল মিডিয়াতে হিয়া প্রায়ই নিজের নাচের ভিডিও শেয়ার করে থাকেন। প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালে খুন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে রবিবার রাস্তায় নেমেছিল টলিপাড়া। সিরিয়াল, সিনেমার অভিনেতা, টেকনিশিয়ান, পরিচালক-প্রযোজকরা সকলে মিলে রাস্তায় পা মেলান।
সংবাদমাধ্যমের তরফে শাশ্বতর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ‘বিচার যত তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়, তত ভালো। কাজের জায়গায় সুরক্ষা। এটা মাস্ট। তাছাড়া আমাদের যতটুকু চাহিদা ছিল, আমরা (টলিপাড়া) লিখিত দিয়েছি। দেখা যাক, আশা তো আছে (সঠিক বিচারের)!’ আসলে এক মেয়ের বাবা তো! তাই লজ্জা-ঘেন্নার বহিঃপ্রকাশও আলাদা।