বছর শেষে ফের বিনোদন জগতের কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ। গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ওস্তাদ রশিদ খান। বৃহস্পতিবার থেকেই এই খবর পাওয়া যাচ্ছিল। জানা গিয়েছে, গত একমাস ধরে তিনি নাকি প্রথম সারির বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। গত কয়েক বছর ধরে শিল্পী প্রস্টেট ক্যান্সারে ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে। চিকিৎসাও চলছিল আর তাতে সাড়াও দিচ্ছিলেন তিনি। এরমধ্যেই নাকি তাঁর ব্রেন স্ট্রোক হয়। সেখান থেকেই অবস্থার অবনিতি। তবে রশিদ খানের স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এই পুরো ঘটনাটাই মিথ্যে বলে দাবি করেছেন। bangla.aajtak.in-কে স্ত্রী জয়িতা বসু খান জানিয়েছেন যে তাঁর স্বামীর ব্রেইন স্ট্রোক হয়নি। রশিদ খান ভালো আছেন।
তবে শিল্পীর ঘনিষ্ঠ মহল ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে রশিদের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তিনি ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। যদিও এই বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও তথ্য জানানো হয়নি। তাঁরা বিষয়টি ব্যক্তিগত স্তরে রাখতে চাইছেন। চিকিৎসকরা তাঁকে দেখছেন, পর্যবেক্ষণে রেখেছেন শিল্পীকে। পরিস্থিতি যে বেশ জটিল, তেমনটাই শোনা যাচ্ছে। যদিও রশিদ খানের স্ত্রীয়ের দাবি সবটাই মিথ্যে। শিল্পী ভালো আছেন।
কয়েক বছর ধরেই ক্যানসারে ভুগছেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের খ্যাতনামী শিল্পী। শুরুতে মুম্বইয়ের টাটা ক্যান্সার রিসার্চ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। পরে সেখান থেকে কলকাতায় চলে আসেন। তারপরেই মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। একের পর এক গান রেকর্ডিং করেছেন। গেয়েছেন একাধিক ছবিতে। শোনা যাচ্ছে, অনেক দিন ধরেই নাকি ঠিকমতো খেতে পারছেন না তিনি। চেহারা ভেঙে প্রচণ্ড রোগা হয়ে গিয়েছেন। রাইস টিউবে খাওয়ানো হচ্ছে তাঁকে।
উত্তরপ্রদেশের বাদাউনে জন্ম উস্তাদের। তিনি উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খানের ভাইপো। ছোটবেলা থেকেই গান টানত তাঁকে। প্রথম টের পেয়েছিলেন উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা। তিনি প্রথম শিল্পীকে মুম্বই নিয়ে আসেন। গানের তালিম দেওয়ার জন্য। যদিও তাঁর প্রকৃত সাধনা তাঁর বাড়িতেই। উস্তাদ নিসার হুসেন খানের কাছে। ভোর চারটে থেকে শুরু হত তালিম। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি উস্তাদ রশিদ খান সিনেমাতেও গেয়েছেন। তালিকায় ‘যব উই মেট’, ‘হাম দিল দে চুকে সনম’, ‘মাই নেম ইজ খান’, ‘মিতিন মাসি’, ‘ভদকা ডায়েরিজ’-এর মতো ছবি।