তিনি বাঙালির ম্যাটিনি আইডল, তাঁর সিনেমা দেখার জন্য হলে উপচে পড়ত ভিড়। মহিলা হৃদয় তোলপাড় হত তাঁর সিগারেট খাওয়ার স্টাইলে। তিনি বাঙালিদের ঘরের ছেলে হলেও, তাঁর স্টারডম ছিল আকাশছোঁয়া। আজও সকলের মণিকোঠায় উজ্জ্বল উত্তম কুমার। যিনি মহানায়ক নামে বিশ্বের দরবারে পরিচিত। ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই, মাত্র ৫৩ বছর বয়সেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ বাংলার একমাত্র মহানায়ক। প্রয়াণের ৪৩ বছর পর ফের বড়পর্দায় ফিরছেন তিনি। সৌজন্যে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
বড়পর্দায় ফের আসতে চলেছেন স্টার উত্তম কুমার। সেই ছবি নিয়ে আসছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সেই ছবিতে উত্তম কুমারের চরিত্রে অভিনয় করবেন স্বয়ং উত্তম কুমার। ছবির গল্পে মুখ্য দুই চরিত্র কৃষ্ণেন্দু ও সোহিনী। তাঁদের প্রেমকাহানি জুড়ে থাকবেন উত্তম কুমার। কৃষ্ণেন্দুর চরিত্রে অভিনয় করবেন অনিন্দ্য সেনগুপ্ত আর সোহিনীর চরিত্রে দেখা যাবে রোশনি ভট্টাচার্যকে। ছবিতে উত্তম কুমারের নাতির চরিত্রে থাকছেন মহানায়কের আসল নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়। উত্তম কুমারের প্রয়াণ দিবসে সৃজিত নিয়ে এলেন সেই সিনেমার প্রিভিউ।
ছোট্ট এই প্রিভিউতে দেখা গিয়েছে অনিন্দ্য ও গৌরব বসে কথা বলছেন আর তারই মাঝে অনিন্দ্যকে সাহায্য করার কথা নিজেই জানালেন উত্তম কুমার। আসলে ছবিতে গৌরব ও কৃষ্ণেন্দু দুই বন্ধু। অন্যদিকে কৃষ্ণেন্দু এক গবেষক। সে উত্তম কুমারকে নিয়ে গবেষণা করছেন। সেই কারণেই তাঁরা দুজনে মিলে প্ল্যানচেট করে উত্তম কুমারকে নিয়ে আসেন। সেখানে উত্তমের চরিত্রে দেখা যাবে স্বয়ং উত্তমকেই। পাশাপাশি কৃষ্ণেন্দুর জীবনের প্রেমঘটিত নানা সমস্যারও সমাধান করবেন মহানায়ক। গৌরব, অনিন্দ্য ও সোহিনী ছাড়া এই ছবিতে অন্যান্য চরিত্রে দেখা যাবে লাবণী সরকার এবং শুভাশিস মুখোপাধ্যায়কে।
কিছু মাস আগেই এই ছবির সঙ্গে আরেকটি ছবির সংঘাতের খবর সামনে আসে। সমস্যা তৈরি হয়েছিল ছবির সত্ত্ব নিয়ে। পরবর্তীকালে অবশ্য দুই পরিচালক সেই সমস্যা মিটিয়েও নেন। ছবির সত্ত্ব প্রসঙ্গে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'বাংলা, ভারত তো বটেই গোটা বিশ্বেও বোধহয় এমন ছবি এর আগে তৈরি হয়নি বলেই মনে করি। ৫৪ বার চিত্রনাট্য লিখতে হয়েছে এই ছবির। ২০১৮ সালে কাজটা সহ করি। ঘুরে ঘুরে সমস্ত ক্লিপিংয়ের স্বত্ব জোগাড় করতে হয়েছে।' বোঝাই যাচ্ছে উত্তম কুমারের ছবির নানা সংলাপ কেটেই তৈরি করা হয়েছে তাঁর চরিত্রটি। আগামী ডিসেম্বরেই সৃজিতের অতি উত্তম মুক্তি পাবে।