সোমবার দিনভর তাঁকে নিয়ে আলোচনা ছিল তুঙ্গে। আরজি কর-কাণ্ডে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে করা বেফাঁস মন্তব্য তৃণমূলের বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে রীতিমতো সমস্যায় ফেলে দেয়। সপ্তাহের প্রথমদিনই বিধায়ক-অভিনেতাকে নিয়ে চলে জল্পনা-কল্পনা। কাঞ্চনের করা মন্তব্যে টলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন। অনেকেই বলছেন এই কাঞ্চনকে তাঁরা চেনেন না। তবে সোমবার রাতেই একেবারে ভোল বদলে অন্য সুর শোনা গেল বিধায়কের গলায়। কাঞ্চন নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন। তবে এটাতেও শান্তি নেই। কাঞ্চনের বহু পুরনো বন্ধু ও সহ অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত বিধায়ক-অভিনেতার নাম করেই তাঁকে কটাক্ষ করলেন।
সোমবার রাতেই কাঞ্চন মল্লিক তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে একটি ভিডিও বার্তা শেয়ার করেন। যেখানে গতকাল একটি ধর্নামঞ্চে আমি কিছু মন্তব্য করে ফেলি। যা নিয়ে সমালোচনা হয়। আমি আমার বক্তব্যের জন্য দুঃখিত এবং লজ্জিত। তবে এর মধ্যেও রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন দেবলীনা। তিনি যদিও কাঞ্চনের নাম করেননি। অভিনেত্রী তাঁর পোস্টে লিখেছেন, 'ক্ষমা চাওয়ার মধ্যেও রাজনীতি। একেবারে অচেনা হয়ে গেলি।'
তবে এই পোস্ট যে কাঞ্চনকে নিশানা করেই করা হয়েছে তা বুঝতে কারও বাকি নেই। দেবলীনার এই পোস্টে অনেকেই কমেন্ট করে জানতে চেয়েছেন তিনি কার কথা বলছেন।
রবিবার কোন্নগরে ধর্নামঞ্চ থেকে কাঞ্চন মল্লিক আরজি কর-কাণ্ডে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, তাঁরা সরকারি বেতনটা নিচ্ছেন তো? না কি নিচ্ছেন না? পুজোর বোনাসটা নেবেন তো? আমার প্রশ্ন এগুলো। এই মন্তব্যের পর কাঞ্চন বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হন। সবচেয়ে বেশি নিন্দিত হন তাঁর সহ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছ থেকে। অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী প্রথম কাঞ্চনকে সমাজমাধ্যমে আক্রমণ করেন। তিনি সরাসরি কাঞ্চনকে ‘ত্যাজ্য’ করেছেন বলে জানিয়েছেন। তার পরেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর পোস্ট। শুরু থেকেই আরজি কর-কাণ্ডে সমাজমাধ্যমে প্রতিবাদ করছেন ঋত্বিক। এই বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গেও তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। কাঞ্চন প্রসঙ্গে ফেসবুকে ঋত্বিক তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘‘ঘাঁটা মল্লিক চাটা মল্লিক ফাটা মল্লিক টা টা মল্লিক।’’
‘স্বপ্নসন্ধানী’-তে অভিনয় করার সময় থেকেই কাঞ্চনের সঙ্গে আলাপ অভিনেতা সুজন নীল মুখোপাধ্যায়ের। তিনি ফেসবুকে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছেন। সুজন লেখেন, ‘‘বন্ধুত্বের হয় না পদবি? হয়...সরকারি সিলমোহর।’’ এরপর সুজন সোশ্যাল মিডিয়াতেই জানান যে তাঁর ও কাঞ্চনের মাগন রাজার পালা নাটকটি বাতিল করা হয়েছে। জানুয়ারিতে এই নাটকের শো হওয়ার কথা ছিল শিলিগুড়িতে। কিন্তু এই ঘটনার পর উদ্যোক্তারা শো বাতিল করেছে।