উত্তম কুমারের পরিবারে বিয়ে হয়েছে অভিনেত্রী দেবলীনা কুমারের। স্বামী তথা অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুখের সংসার দেবলীনার। অভিনয় থেকে স্বামীর ঘর সবটাই দারুণভাবে সামলান দেবলীনা। মহানায়কের পরিবারের লক্ষ্মীপুজো হোক বা সরস্বতী পুজো, সব দায়িত্বই সুন্দরভাবে পালন করেন তিনি। তবে এইসবের পর বাবা তথা বিধায়ক দেবাশিস কুমারের কাছে মেয়ে দেবলীনার আবদারের শেষ নেই। বিয়ের আগে তো বটেই বিয়ের পরও মেয়ের সব আবদারই হাসিমুখে রাখেন দেবাশিস কুমার।
কিছুদিন আগেই মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারের জন্মদিন ছিল। আর সেই উপলক্ষ্যে মেয়ে দেবলীনা মনে করালেন তাঁর বাবার এক কাণ্ডের কথা। মেয়ের শখ পূরণ করতে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে রেখে তিনি যা করেছিলেন সেই কথাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন দেবলীনা। ৬৫ বছরে পা দিয়েছেন দেবাশিস কুমার। বাবার সঙ্গে একটি মিষ্টি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, “আমার জন্মদিনে বাবা ট্র্যাম্পোলাইন চড়েছিল, কারণ আমি বায়না করেছিলাম। সেই কারণেই বাবা। বাবাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।” প্রসঙ্গত, একই মাসে দেবলীনা ও তাঁর বাবার জন্মদিন। দেবলীনা তাঁর জন্মদিনের দিনই বাবাকে দিয়ে এই আজব কাজটি করিয়েছিলেন।
বাবা দেবাশিস কুমারের কাছে দেবলীনা আজও সব ধরনের আবদার করে চলেন। একমাত্র মেয়ের সব আবদারই হাসিমুখে মেনে নেন। এক রিয়্যালিটি শো-তে গিয়ে দেবলীনা জানিয়েছিলেন যে ভ্যালেন্টাইন ডে-তে বাবার কাছ থেকে প্রতিবছর উপহার পেয়ে থাকেন দেবলীনা। মেয়ে ও জামাই বিধায়ক দেবাশিসের যে অত্যন্ত প্রিয় তা সোশ্যাল মিডিয়া দেখলেই বোঝা যায়। দেবলীনার বিয়েতে বাবা দেবাশিস কুমারকে দেখা গিয়েছিল কাঁদতে।
প্রসঙ্গত, বিধায়ক কন্যা হওয়ায় মাঝেমধ্যেই ট্রোলের মুখে পড়তে হয় দেবলীনাকে। খুব শীঘ্রই ডক্টরেট উপাধি পাবেন তিনি। সে নিয়েও হয়েছিল কটাক্ষ। বাবার কারণেই মিলছে ডিগ্রি, রটেছিল এমন কথাও। তা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন দেবলীনা। বলেছিলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ট্রোলিং হয় আমাকে নিয়ে। বলা হয় যে আমি বিধায়ক কন্যা এবং এই মুহূর্তে উত্তরকুমারের নাত বউ বলেই আমি প্রচণ্ড প্রিভিলেজড। কিন্তু বিশ্বাস করুন, এর অনেক নেগেটিভ পয়েন্টস আছে। আমাকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হয়। খালি মনে হয়, আমি যা-যা করছি, কিংবা যেভাবে নিজেকে মেলে ধরছি, সেটা হয়তো অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে।”