গত বছর পুজোর পর শুরু হয়েছে 'ফেরারি মন'। কালার্স বাংলার এই ধারাবাহিক কয়েক মাস ধরে বেশ জনপ্রিয়। এই মুহূর্তে মেগাতে চলছে জমজমাট পর্ব। তুলসী -অগ্নির বিয়ের মেহেন্দি ও সঙ্গীত অনুষ্ঠানের দিকে মুখিয়ে রয়েছেন দর্শকেরা।
প্রোমো সামনে আসার পর থেকে ফ্যানেরা নেটমাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। যা দেখে বোঝা যাচ্ছে, ধারাবাহিকের এরকম একটা ট্র্যাক তারা চাইছিলেন।
নাচ- গানের পাশাপাশি বিশেষ পর্বের আকর্ষণ তুলসী -অগ্নির একে অপরকে টেক্কা দেওয়া বা জব্দ করার প্রচেষ্টা। এদিকে আনন্দে মেতে উঠেছে পরিবার- পরিজনরা। পারফরম্যান্স করতে দেখা যাবে পরমা- ঋষিকেশকেও।
ষড়যন্ত্র করে অগ্নি ও তার বন্ধুরা তুলসীর একটি ভিডিও ভাইরাল করে। যার ফলে শেষ মুহূর্তে তুলসীর বিয়ে ভেঙে যায়। অগ্নি তাকে অপমান করার কোনও সুযোগ ছাড়ে না। এমনকী সকলের জন্য তুলসীর রান্না করা খাবারও তারা নষ্ট করে দেয়। যদিও তুলসী আগেই কিছুটা খাবার সরিয়ে রেখেছিল বিপদ আঁচ করে।
অগ্নি, বুক্কি ও ঝিলমিল তুলসীকে একটি রেস্তরাঁতে নিয়ে যায় এবং খাবার খেয়ে তারা চলে যায়। এদিকে খাবারের বিল মেটানোর টাকা তুলসীর কাছে নেই। অপমানিত বোধ করে তুলসী। কিন্তু রেস্তোরাঁর মালিক এসে তুলসীকে দেখে জানায় কোনও টাকা নেবে না তার থেকে। কারণ তার মেয়ের জীবন রক্ষা করেছিল তুলসী।
অন্যদিকে পার্টিতে তুলসীর মুখে মদ ঢেলে দেয় অগ্নি। অপমান সহ্য করতে না পেরে তুলসী ঠিক করে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। তখনই সেখানে হাজির হয় ঋষিকেশ এবং জানায় অগ্নি ও তুলসীর বিয়ে দেবে সে।
পরমার কথায় বুক্কি ও ঝিলমিল আলমারির উপর একটি বৈদ্যুতিক তার রাখে যাতে সেখান থেকে জিনিস নামাতে গিয়ে তুলসী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। মেহেন্দির সঙ্গে বিষাক্ত পাতা মিশিয়ে দেওয়া হয়। যা হাতে লাগানোর পরই তুলসীর হাত জ্বালা করতে থাকে। তুলসী ব্যাথায় চিৎকার করে, কিন্তু অগ্নি তার যন্ত্রণা দেখে হাসে।
পরমার রেখে দেওয়া গয়না ও শাড়ি পরে মেহেন্দি - সঙ্গীত অনুষ্ঠানে সামিল হয় তুলসী। জোরদার নাচ- গানে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে দু'জনেই। তুলসীর মেহেন্দি অনুষ্ঠানে খুশির মধ্যেও বিষাদের সুর।
দুই বিপরীত মেরুর মানুষ তুলসী- অগ্নির কীভাবে মিল হয় এবং কীভাবে তাদের জার্নি একসঙ্গে এগোয়, সেটাই এখন দেখার।