বসন্তের আগেই চারিদিক প্রেমের গন্ধে যেন ম - ম করছে। আর ভ্যালেন্টাইনস ডে-তেই বিয়ে করলেন টেলিভিশনের জনপ্রিয় জুটি রুদ্রজিৎ মুখার্জি ও প্রমিতা চক্রবর্তী। পুরুলিয়ায় সম্পন্ন হল তাঁদের এই বিয়ে।
১৪ ফেব্রুয়ারি, রবিবার, পুরুলিয়ায় রুদ্রজিতের বাড়িতেই হয়েছে তাঁদের বাগদান ও আইনী বিয়ে। তাই শনিবারই কলকাতা থেকে রওনা হয়েছেন এই লাভ- বার্ডস।
রূপকথার গল্পের মতো হল আংটি বদল পর্ব। দুজনে যেন দুব দিইয়েছিলেন একে অপরের প্রেমের সাগরে।
ওয়েস্টার্ন পোশাকেই সেজেছিলেন এদিন দুজনে। এর আগে আজতক বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রমিতা বলেছিলেন, " যেহেতু আমরা আংটি বদল করবো, তাই পীচ রঙা লং গাউন পরবো আমি। সঙ্গে থাকবে মানানসই গয়না। আর রুদ্র পরবে বেগুনি রঙের স্যুট।"
এদিন সকালবেলা 'রুমিতা'-এর বিশেষ ফটো শ্যুট নজর কেড়েছে সকলের। লাল মাটির দেশেই তাঁরা করেছিলেন 'প্রি- এনগেজমেন্ট' শ্যুট।
প্রেমের রঙ যেন হয়ে গিয়েছিল কালো। প্রমিতার কালো লং গাউন ও রুদ্রজিতের কালো রঙা স্যুটে তাঁদের দেখে যেন মনে হচ্ছিল, এই জুটি একে অপরের জন্যেই তৈরি।
'সাত ভাই চম্পা'-র সেট থেকেই সম্পর্ক শুরু হয় প্রমিতা- রুদ্রজিতের। এরপর প্রায় ২.৫ বছরের সম্পর্ক এবার পরিণতি পেল। প্রমিতা এনগেজমেন্টের আগের দিন জানিয়েছিলেন, "অন্য রকম এক অনুভূতি হচ্ছে। খুব ভালো লাগছে। এখন এনগেজমেন্ট আর রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করবো আমরা। সব ঠিক থাকলে ২০২১ -এর শেষে বা ২০২২-এর শুরুতে সামাজিক বিয়ে হবে। করোনা পরিস্থিতি এবং এতটা দূরে বলে ইন্ডাস্ট্রির বন্ধু-বান্ধবদের এখন ডাকতে পাচ্ছি না। সামাজিক বিয়েতে সবাইকে ডাকবো।"
অন্যদিকে খুব উৎসাহিত রুদ্রজিৎ বলেছিলেন, "বাড়িতে সব আত্মীয় পরিজনেরা ইতিমধ্যে চলে এসেছেন। মনে হচ্ছে না এটা এনগেজমেন্ট করছি আমরা, বারবার মনে হচ্ছে সামাজিক বিয়েই হচ্ছে। আমরা লকডাউনের মধ্যেই ঠিক করেছি যে ১৪ ফেব্রুয়ারি এনগেজমেন্ট করবো। খুব উৎসাহিত আমি, এতদিনের একটা প্রতিক্ষিত দিন আসতে চলেছে। "
কাজের থেকে তিন থেকে চারদিনের বিরতি নিয়েছেন তাঁরা। 'সাত ভাই চম্পা'-এর রাঘবেন্দ্র ও পারুলের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রুদ্রজিৎ- প্রমিতা। এখন 'জীবন সাথী' - ধারাবাহিকে তূর্ণ চরিত্রে রুদ্রজিৎ যথেষ্ট জনপ্রিয়। প্রমিতাও 'এখানে আকাশ নীল'-এর ঝিনুক চরিত্রে ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছিলেন বাঙালিদের।