ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিয়াসা লেপচা। কৃষ্ণকলি সিরিয়াল দিয়ে তিনি শ্যামা চরিত্রের হাত ধরে সকলের কাছে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। এই সিরিয়াল দিয়েই তাঁর ছোটপর্দায় পথ চলা শুরু হয়। তবে শুধু পেশাগত দিক দিয়েই নয়, ব্যক্তিগত দিক দিয়েও তিয়াসা একাধিকবার চর্চায় ছিলেন। কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকটি চলছিল চার বছর প্রায়। এই সময়কালে তিয়াসার ব্যক্তিগত জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে।
তিয়াসা-সুবান বিচ্ছেদ
খুব অল্প বয়সেই বিয়ে করেন তিয়াসা। তিনি বিয়ে করেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা সুবান রায়কে। কিন্তু কেরিয়ারে তুমুল সফলতা অর্জন করার পরেও তিয়াসার ব্যক্তিগত জীবন মোটেও সুখের ছিল না। সম্পর্কের টানাপোড়েনে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর তিয়াসার জীবনে নতুন মানুষ এসেছে বলে খবর রটে যায় ইন্ডাস্ট্রিতে।
আরও পড়ুন: মন ভেঙেছে একাধিকবার, প্রাক্তন প্রেমিকাদের উদ্দেশ্যে কী বললেন রাহুল?
খুব অল্প বয়সে বিয়ে করেন তিয়াসা
মাত্র উনিশ বছর বয়সে সুবানকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মাঝে অতিক্রান্ত হয়েছে একটি বছর। বর্তমানে স্টার জলসাতে ‘বাংলা মিডিয়াম’ সিরিয়ালে অভিনয় করছেন তিনি। সেইসঙ্গে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও এখন আলোচনা চলছে। তার জীবনের নতুন প্রেম, বিয়ে নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি এইসব জানতে আগ্রহী তার ভক্তরা। শোনা যাচ্ছে অভিনেত্রী নাকি শীঘ্রই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন!অন্ততপক্ষে তার ভক্তদের মধ্যে এমনই জল্পনার সূত্রপাত হয়েছে। সত্যিই কি শীঘ্রই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন ‘বাংলা মিডিয়ামে’র শিক্ষিকা? এই প্রসঙ্গে এখ সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছিলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন ভবিষ্যতে তাঁর বিয়ে করার সম্ভাবনা কিন্তু অবশ্যই আছে।
আরও পড়ুন: 'কড়ি খেলা'র পারমিতার হবু বর কে? জানিয়ে দিলেন রচনা
ফের বিয়েতে বসতে আগ্রহী
এর আগে একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন তিনি ভবিষ্যতে নিজের মনের মানুষকে খুঁজে পেলে অবশ্যই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন। ভবিষ্যতে আবারও বিয়ে করার ইচ্ছে রয়েছে তার। মনের মত সঙ্গী পেলে তিনি বিয়ে করবেন। এমনকি সমস্ত মনোমালিন্য ভুলে বিয়েতে তিনি তার প্রাক্তন স্বামী সুবানকেও আমন্ত্রণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
দ্বিতীয় বিয়ের পরিকল্পনা
সম্প্রতি তিয়াসা তার দ্বিতীয় বিয়ের পরিকল্পনা নিয়ে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "সারা জীবন সিঙ্গেল থাকার পরিকল্পনা আমার নেই। অনেককে বলতে শুনি একা থাকব। তবে আমি মনে করি এত কাজ করার পর দিনের শেষে বাড়ি ফিরে তার সঙ্গে সবকিছু ভাগ করে নেওয়া যায়। এখনই কোনও ভাবনা চিন্তা নেই। একটু সময় নিয়ে তারপর ভাবব।"