Advertisement

Mamata Banerjee On Bengali Serial: 'পরের সিনটা কী হবে আগে থেকে বলে দিতে পারি...,' বাংলা সিরিয়াল নিয়ে আর কী বললেন মমতা ?

Tele Academy Awards 2025: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী- রাজনীতিবিদ ছাড়াও, একজন শিল্পী। বিনোদন- সংস্কৃতি জগৎ সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। বিভিন্ন সময় তিনি নিজেই বলেছেন, নিয়মিত ধারাবাহিক দেখেন তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 20 Nov 2025,
  • अपडेटेड 6:48 PM IST

ছোট পর্দা, দর্শকদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোধ হয় সকলের জানা। টেলিভিশনের চরিত্রগুলি হয়ে ওঠে, দর্শকদের বাড়ি কিংবা একেবারে পাশের বাড়ির সদস্য। বাঙালির ড্রয়িং রুম থেকে ডাইনিং রুমের চর্চাতেও ঢুকতে পারে মেগাগুলি। ২০ নভেম্বর আয়োজিত হয়েছিল এবছরের টেলি আকাদেমি অ্যাওয়ার্ডস। বৃহস্পতিবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী- রাজনীতিবিদ ছাড়াও, একজন শিল্পী। বিনোদন- সংস্কৃতি জগৎ সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। বিভিন্ন সময় তিনি নিজেই বলেছেন, নিয়মিত ধারাবাহিক দেখেন তিনি। অনেকেরই অজানা, 'গুড্ডি' ও 'জগদ্ধাত্রী' ধারাবাহিকের গান লিখেছেন ও সুর দিয়েছেন তিনি।

মঞ্চ থেকে এদিন মমতা বলেন, "বাংলা টেলিভিশনের এই জগতটা না থাকলে মানুষের বিনোদন হত না। বিশেষত যারা বাড়িতে বসে টিভি দেখেন, তাদের এটাই একটা বড় সংসার। টেলিভিশন চ্যানেল না দেখলে তাদের সময় কাটে না। তাদের দিন চলে এটা দেখে।"

 

মুখ্যমন্ত্রী যোগ করেন, "আমি যখনই সময় পাই, নিজেও দেখি। তাই সিরিয়ালের পরের সিনটা কী হবে, সেটা আমি আগে থেকে বলে দিতে পারি। কারণ কোনটা বাড়াতে গিয়ে আবার কখনও কখনও কাউকে মেরে দেয়। আবার কোনওটা বাড়াতে গিয়ে কূটকাচালি হয়ে গেল। প্রত্যেকটা সিনে তিন- চারটে ফিগার তো থাকবেই। কেউ পজিটিভ, তো কেউ নেগেটিভ। টিআরপি-ও বাড়াতে হবে, অনেকদিন চালাতেও হবে। গল্পও বানাতে হবে, গানও বানাতে হবে। সবকিছুই ঠিক আছে। টেকনিশিয়নদেরও অনেক কাজ থাকে। তবে সবচেয়ে বড় কাজ আপনারা যেটা করেন, কর্মে প্লাবন করেন। কর্ম সৃষ্টি করেন। এটা খুব বড় একটা কাজ। আর শিল্পীরা দিন- রাত এক করে পরিশ্রম করেন। তাঁদের জীবনে ছুটি নেই। কোনও উৎসবে যাওয়া নেই। এটাই যেন তাঁদের উৎসব। এমনকী পুজোর সময়েও টিভিতে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করতে হয় ওঁদের।"

Advertisement

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, "টেলিভিশন চ্যানেলের সবচেয়ে বড় দিক হোক মানবিক, সামাজিক চেতনা, সুশিক্ষা এবং বিশেষ করে আমাদের যারা নিউ জেনারেশন তাঁরা হয়তো আমাদের ইতিহাস্টা জানতে পারছে না। সেই ইতিহাসটা বিভিন্নভাবে দেখাতে হবে নানাভাবে, টক- ঝাল- মিষ্টি সব ফ্লেবার যার মধ্যে থাকবে। আমাদের এই মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি। সেই মাটিকে ভালোবাসতে হবে। এখন কিছু সিরিয়াল হচ্ছে, যেগুলো নতুন- নতুন চিন্তাধারার। আগে মেনে নিতে না পারলেও, আজকের যুগে মেনে নিতে হচ্ছে, কারণ অনেকে একা থাকে। তার জীবনটা যেন শেষ না হয়ে যায়, তা জীবনটা যেন সুন্দর করে বাঁচতে পারে। সেদিকটা আমাদের দেখতে হবে। কারণ এটা একটা পরিবার।"  

 

প্রসঙ্গত, বাংলা টেলিভিশনের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের সম্মান জানাতে, রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় পশ্চিমবঙ্গ টেলি আকাদেমি অ্যাওয়ার্ডস। ২০১২ সালে গঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ টেলি আকাদেমি। ২০১৪ তে শুরু হয় এই অনুষ্ঠান। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement