তীব্র গরমের দাবদাহে জ্বলছে গোটা বাংলা। কবে হবে বৃষ্টি, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। দক্ষিণবঙ্গে এখনও সেরকম স্বস্তির খবর দিতে পারছে না আবহাওয়া দফতর। গত কয়েক দিন ধরেই চলছে তাপপ্রবাহ। দাবদাহে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। সকাল থেকে সূর্যের তাপে নাজেহাল রাজ্যবাসী। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে স্কুল -কলেজগুলি বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বেসরকারি স্কুলগুলি চালু করেছে অনলাইন ক্লাস। দুপুরে রাস্তায় তুলনামূলক কম লোক দেখা যাচ্ছে। এদিকে অসহ্য গরমের মধ্যে শ্যুট চলছে স্টুডিও পাড়ার (Tollywood Studio)।
ছোট পর্দার ধারাবিহকগুলি অনেক ক্ষেত্রেই দর্শকদের রোজনামচার সঙ্গে জড়িয়ে যায়। টেলিভিশনের চরিত্রগুলি হয়ে ওঠেন তাদের বাড়ি কিংবা একেবারে পাশের বাড়ির সদস্য। বলা যায়, বাঙালির ড্রয়িং রুম থেকে ডাইনিং রুমের চর্চাতেও ঢুকতে পেরেছে ধারাবাহিকগুলি। মাসের দ্বিতীয় রবিবার বন্ধ থাকে টেলিপাড়ার শ্যুটিং। এছাড়া প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে চলে বাংলা ধারাবাহিকের শ্যুটিং। গল্পের স্বার্থে প্রায়ই ফ্লোরের বাইরে আউটডোরেও শ্যুটিং করতে হয় ছোট পর্দার। বিভিন্ন দৃশ্যের জন্যে, এসি ফ্লোরের বাইরে রোদের মধ্যেও শ্যুট চলে। হাঁসফাঁসানি গরমে নাজেহাল কলাকুশলীরা। এদিকে বেশি ব্যাঙ্কিং কম থাকে, তাই বিরতির উপায়ও নেই।
এই পরিস্থিতিতে কলাকুশলী এবং শিল্পীদের কথা ভেবে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (Federation of Cine Technicians and Workers of Eastern India)। মেগা সিরিয়ালের শ্যুটিংয়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে চলেছে, বলে জানালেন ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। bangla.aajtak.in-কে তিনি জানান, প্রযোজক গিল্ড অর্থাৎ ডব্লুএটিপি (WATP/ Welfare Association Of Television Producers) এবং ইম্পাকে অর্থাৎ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ান মোশন পিকচার্সে অ্যাসোসিয়াশন (EIMPA/ Eastern India Motion Pictures Association) এই নিয়ে তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন।
স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, "গরমের মধ্যে আউটডোর বা ইনডোর শ্যুট নিয়ে কিছু করা যায় কিনা, সেটা নিয়ে একটু বসব ডব্লুএটিপি ও ইম্পা'র সঙ্গে। দুপুরে বাইরে শ্যুট বন্ধ রাখা যায় কিনা বা কারেন্ট চলে গেলে প্রত্যেকটা জায়াগায় যাতে জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকে এই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়াও লেবু জল, নুন- চিনির জল বা ওআরএস-এর ব্যবস্থা করা যায় কিনা ফ্লোরে সকলের জন্য, এই সব নিয়ে আলোচনার জন্যে চিঠি দিয়েছি।"
প্রসঙ্গত, করোনার পরিস্থিতি কিছুটা ঠেকাতে যখন কার্যত লকডাউন ঘোষণা করা রাজ্যে, সেসময় বন্ধ ছিল স্টুডিও পাড়ার শ্যুটিং। টলিপাড়ায় শোনা গিয়েছিল নতুন শব্দবন্ধ 'শ্যুট ফ্রম হোম'। আর এর জেরেই ফেডারেশন ও আর্টিস্ট ফোরামের মধ্যে সমস্যা সামনে আসে। এরপর বারবার বৈঠকের পর সমস্যার সুরাহা হয়। গরমের কথা মাথায় রেখে, স্টুডিও পাড়ার জন্য কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা জানা যাবে শীঘ্রই।