বুলেটে চেপে বিয়ের মণ্ডপে আসছে কনে। এসেই পাত্রের অন্য বিয়ে আটকে, সোজা শুভদৃষ্টি! ভাবছেন এরকম সম্ভব? হ্যাঁ এরকমই ঘটতে চলেছে কালার্স বাংলার 'ফেরারি মন' (Ferari Mon)-এ। জোড়দার টেক্কা চলছে বাংলা টেলিভিশনে (Bengali Television)। পুরনো মেগার গল্পে আসছে নতুন নতুন ট্যুইস্ট। এই ধারাবাহিকেও চলছে জমজমাট পর্ব। তুলসী -অগ্নির মেহেন্দি, সঙ্গীত অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। এবার সকলে মুখিয়ে রয়েছেন তাদের বিয়ের দিকে। বাংলার ছোট পর্দায় দর্শকেরা এমন দৃশ্যের সাক্ষী হবেন এবার, যা আগে কখনও দেখা যায়নি।
ধারাবাহিকের বর্তমান ট্র্যাকে দেখা যাচ্ছে, ষড়যন্ত্র করে তুলসীকে বারবার বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে অগ্নি। কিন্তু বাধা- বিপত্তি কাটিয়েও জয়লাভ করছে তুলসী। পার্টির আয়োজন করে তুলসীর মুখে মদ ঢেলে দেয় অগ্নি। অপমান সহ্য করতে না পেরে তুলসী ঠিক করে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। তখনই সেখানে হাজির হয় ঋষিকেশ। অগ্নির আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে সে জানায়, তাড়াতাড়ি তুলসীর সঙ্গে অগ্নির বিয়ে দেবে সে।
অগ্নি তুলসীকে সতর্ক করে, এই বিয়ে না আটকালে তার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু তুলসী বিয়ে বন্ধ করতে অস্বীকার করে এবং বলে, বিয়ের পর অগ্নি তার করা সমস্ত অন্যায়ের ভুগবে। এদিকে ঋষিকেশ তুলসীর পরিবারকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসায়, অগ্নি ও পরমা রেগে যায়। অগ্নির বাড়ির অবস্থা দেখে প্রতাপের (তুলসীর বাবা) মন গলে যায়। তবে বিজয়া (তুলসীর মা), মেয়ের ভবিষৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
পরমা তুলসীকে একটি হোটেল থেকে গুরুদেবকে নিয়ে আসতে বলে। আসলে ষড়যন্ত্র করে, তুলসীকে একটি মধুচক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে বদনাম করার চেষ্টা ছিল তার। শেষ পর্যন্ত তুলসী বিজয়ী হয়। এখানেই শেষ নয়, বিয়ের দিন অপহরণ করায় সে।
তুলসী একজন কুস্তিগীরের মেয়ে, সে গুন্ডাদের সঙ্গে লড়াই করে বুলেট চালিয়ে বিয়ের মন্ডপে প্রবেশ করে। সকলে চমকে যায়। তুলসী ও অগ্নির শুভদৃষ্টি হয় এভাবেই। দুই বিপরীত মেরুর মানুষ তুলসী- অগ্নির কীভাবে মিল হয় এবং কীভাবে তাদের জার্নি একসঙ্গে এগোয়, সেটাই এখন দেখার।