শেষ হল 'ইন্ডিয়ান আইডল' সিজন ১৩ (Indian Idol Season 13) -র দীর্ঘ ৭ মাসের জার্নি। এবার বিজয়ীর ট্রফি উঠেছে অযোধ্যার ঋষি সিংয়ের হাতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছাবার্তায় ভরেছে তাঁকে নিয়ে। এদিকে এই খবরে বেজায় মন খারাপ বাঙালিদের। কারণ সেরা ৬-এ উঠলেও, তিন বঙ্গতনয়ার মধ্যে কারও মাথায় উঠল না সেরার সেরা হওয়ার খেতাব।
'ইন্ডিয়ান আইডল' সিজন ১৩-র দ্বিতীয় অর্থাৎ ফাস্ট রানার আপ হয়েছেন কলকাতার দেবস্মিতা রায় (Deboshmita Roy) এবং তৃতীয় অর্থাৎ থার্ড রানার আপ চিরাগ কোটওয়াল (Chirag Kotwal)। এই তিনজন ছাড়া সেরা ৬-এ ছিলেন সোনাক্ষী কর (Sonakshi Kar), শিবম সিং এবং বিদীপ্তা চক্রবর্তী (Bidipta Chakraborty)। কে হবেন সেরার সেরা, এই নিয়ে নানা জল্পনা ছিল। বাঙালিদের আশা ছিল, হয়তো এবার কোনও বাঙালি শিল্পী হবেন 'ইন্ডিয়ান আইডল'। তবে সে আশা পূরণ হয়নি। নেটমাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভ জানিয়ে লিখেছেন, " সবই আগে থেকে ঠিক করা থাকে।" তো কেউ লিখেছেন, "বাঙালিদের দেবে না, জানতাম...।"
গানের এই রিয়্যালিটি শো-এর এই সিজনে এবার জয়জয়কার ছিল বাঙালির। কারণ 'ইন্ডিয়ান আইডল'-র টপ ১৫-এ ছিল ৭ বাঙালি। সোনাক্ষী কর, অনুষ্কা পাত্র, সঞ্চারী সেনগুপ্ত, সেঁজুতি দাস, বিদীপ্তা চক্রবর্তি, দেবস্মিতা রায় এবং প্রীতম রায় জোরদার টেক্কা দিয়েছেন বহু প্রতিযোগীদের। গত সিজনে জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও শেষ মুহূর্তে ট্রফি হাতছাড়া হয় বনগাঁর মেয়ে অরুণিতা কাঞ্জিলালের। এবারও ফিনালেতে জায়গা করে নিতে পারলেও, ট্রফি অধরাই রইল বাংলার মেয়ে সোনাক্ষী, দেবস্মিতা, বিদিপ্তাদের।
ছোটবেলা থেকেই গানই নেশা- ভালোবাসা ছিল বনগাঁওর দেবস্মিতা রায়ের। তাঁর বাবা একজন পেশাদার গায়ক। বাবার কাছেই গানের তালিম নিয়েছেন দেবস্মিতা। ২০১১ সালে বাংলা গানের রিয়্যালিটি শো 'সারেগামাপা' লিটল চ্যাম্পে প্রতিযোগী হয়েচ যোগ দিয়েছিলেন সোনাক্ষী কর। এরপর ২০১৩ সালে 'ইন্ডিয়াল আইডল' জুনিয়র-এও প্রতিযোগী ছিলেন তিনি। অন্যদিকে বিদীপ্তা চক্রবর্তী ২০১৭ সালে 'লিটল চ্যাম্প'-র প্রতিযোগী ছিলেন এবং টপ ৮ অবধি টিকে ছিলেন। এরপর ২০২১ সালে, 'সারেগামাপা'-তে সেকেন্ড রানার আপ হোন বিদীপ্তা।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া 'ইন্ডিয়ান আইডল' সিজন ১৩-র সাত মাসের লম্বা সফর শেষ হয়েছে রবিবার। অযোধ্যার ঋষি সিং, ট্রফি ছাড়াও পেয়েছেন ২৫ লক্ষ টাকা এবং একটি নতুন গাড়ি। এবারের সিজনের বিচারক আসনে ছিলেন হিমেশ রেশমিয়া, বিশাল দাদলানি ও নেহা কক্কর। শোয়ের সঞ্চলানার দায়িত্বে ছিলেন আদিত্য নারায়ন।