ঋতাভরীর টেলিভিশনে কাজ করার ক্ষেত্রে জড়িয়ে আছেন তাঁর দিদি চিত্রাঙ্গদা। সাক্ষাৎকারে বহুবার সেকথা বলেছেন অভিনেত্রী। এবার সেই দিদির বাগদানে চুটিয়ে মজা করলেন ঋতাভরী।
গত বছর শেষের দিকে ঠিক করেছিলেন এনগেজমেন্ট সেরে ফেলবেন। সেইমতই নতুন বছরের প্রথম মাসেই আংটি বদল করলেন অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী।
প্রজাতন্ত্র দিবসের পরের দিন বুধবার ছিল এনগেজমেন্ট। বাড়িতেই আয়োজন করা হয়েছিল অনুষ্ঠানের।
ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব থেকে টলি সেলেব সকলেই হাজির ছিলেন চিত্রাঙ্গদাকে তাঁর বিশেষ দিনে শুভেচ্ছা জানাতে।
প্রেমিক সম্বিত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই বাগদান সেরে ফেললেন তিনি। সম্বিত পেশায় পারকাশনিস্ট।। বহু তাবড় তাবড় শিল্পীদের সঙ্গত করেছেন। সম্বিত একমাত্র ড্রামার যিনি কমনওয়েলথ গেমস গোল্ড কোস্ট’১৮-তে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে ছিলেন।
ঘরোয়া অনুষ্ঠানেই বাগদান পর্ব সারা হয়। তবে এখনও বিয়ের ডেট ঠিক করে উঠতে পারেননি চিত্রাঙ্গদা।
লাল রঙের শাড়ি, স্লিভলেস ব্লাউজে ছিমছাম সাজ ছিল পাত্রীর। আর পাত্র পরেছিলেন, সাদা পাঞ্জাবি। গায়ে ঘিয়ে রঙের শাল।
অনুষ্ঠানের ছবি শেয়ার করে চিত্রাঙ্গদা লিখেছেন, “আমাদের বম্বে ব্রোকারদের আর কোনও মিথ্যে কথা বলতে হবে না। এখন তো অফিশিয়ালি এনগেজড। বাহ! আমার প্রাণের বন্ধু সম্বিত। তোমাকে খুব ভালবাসি।” জানা যাচ্ছে মুম্বইতে একসঙ্গেই থাকেন দু'জনে।
দিদির আংটি বদলের অনুষ্ঠানে চুটিয়ে আনন্দ করেছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী । হবু জামাইবাবুকে জড়িয়ে ধরে ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্যাপশনে লিখেছেন, “পরিবারে তোমাকে স্বাগত সম্বিত জামাইবাবু।”
বড় মেয়ের বিয়েতে খুশি পরিচালক-প্রযোজক শতরূপা সান্যালও ।
জানা যাচ্ছে পাত্র-পাত্রী দু’জনের আলাপ কলেজে। সেন্ট সেভিয়ার্স কলেজে পড়তেন চিত্রাঙ্গদা-সম্বিত। প্রায় ১১-১২ বছরের পরিচিতি। তবে প্রেম শুরু কলেজের শেষের দিকে। চিত্রাঙ্গদার সঙ্গে বাগদানের ছবি শেয়ার করে নিজের প্রাক্তন প্রেমিকাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন সম্বিত। লিখেছেন, তাঁরা ছেড়ে না গেলে নিজের মনের মানুষ চিত্রাঙ্গদাকে পেতেন না তিনি।
‘শান্তিলাল ও প্রজাপতি রহস্য’, ‘আহারে মন’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন চিত্রাঙ্গদা।