দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি 'লহো গৌরাঙ্গের নাম রে'। এক সময় এই ছবির ভবিষ্যৎ ছিল প্রশ্নচিহ্নের মুখে। তবে শেষমেশ নতুনভাবে শুরু হয়েছে এই ছবির কাজ।
কাস্টিংয়ের থেকে শুরু করে, চরিত্র লুক সামনে আসতেই দর্শকের মনে উৎসাহ বেড়েছে দ্বিগুণ। সপ্তাহের প্রথম দিন সুসম্পন্ন হল ছবির শুভ মহরৎ।
এসভিএফ ও রানা সরকারের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হবে 'লহো গৌরাঙ্গের নাম রে'। সোমবার মহরৎ উপলক্ষে এসভিএফ-র অফিসে হাজির হয়েছিলেন ছবির টিম। লেন্সবন্দি হল নানা মুহূর্ত।
তিনটি সময়কাল জুড়ে তিনটি গল্প এক সূত্রে গেঁথেছেন পরিচালক। সেখানে কখনও চৈতন্য,কখনও নটী বিনোদিনী, আবার কখনও গিরিশ ঘোষের মতো চরিত্ররা আসবেন। বর্তমান সময়, নয়ের দশক এবং শ্রীচৈতন্যর সময়কাল থাকবে এছবিতে।
আলাদা আলাদা সময়ের চরিত্ররা পরিস্থিতির নিরিখে কোথাও গিয়ে এক হয়ে যাবে। ছবির টাইমলাইনে অতীত- বর্তমান সব মিলেমিশে যাবে।
এবার বিনোদিনী রূপে দেখা যাবে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে এবং গিরিশ ঘোষের চরিত্রে রয়েছেন ব্রাত্য বসু। এছাড়াও নিত্যানন্দ প্রভুর চরিত্রে রয়েছেন যিশু সেনগুপ্ত।
বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় দুই তারকা এবার ডেবিউ করতে চলেছেন সৃজিতের ছবিতে। 'লহো গৌরাঙ্গের নাম রে'-তে চৈতন্য মহাপ্রভুর ভূমিকায় দেখা যাবে টেলি অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্তকে। অন্যদিকে চৈতন্যর প্রথম স্ত্রী লক্ষ্মীপ্রিয়া রূপে দেখা যাবে আরাত্রিকা মাইতিকে।
বিভিন্ন সময়কালে দিব্যজ্যোতি ছাড়াও ছবিতে শ্রীচৈতন্যর লুকে দেখা যাবে শুভশ্রী ও ইন্দ্রনীলকে। সমসময়ের গল্পে থাকছেন ইশা ও ইন্দ্রনীল। এখানে ইশা একজন পরিচালক এবং ইন্দ্রনীল তারকা। আগে কথা ছিল ইন্দ্রনীলের স্ত্রীয়ের চরিত্রে দেখা যাবে পার্নো মিত্রকে। তবে ডেট নিয়ে সমস্যা হওয়ায়, এখন সেই চরিত্রে দেখা যাবে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়কে।
এই ছবির রূপটান করছেন সোমনাথ কুণ্ডু। এছাড়া আবহসঙ্গীত করছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। কবীর সুমনের লেখা ও সুরে প্লেব্যাক করছেন বাসবদত্তা চৌধুরী। শ্রেয়া ঘোষালের কণ্ঠেও গান শুনতে থাকবে।
সব ঠিক থাকলে, জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হবে শ্যুটিং এবং রথের সময় পুরীতে গিয়ে শ্যুটিংয়ের পরিকল্পনাও আছে। এবছর ডিসেম্বর মাস নাগাদ মুক্তি পাওয়ার কথা 'লহো গৌরাঙ্গের নাম রে'। (সব ছবি: সংগৃহীত)