অভিনেতা- সাংসদ দেবের (Dev) বিরুদ্ধে শান্তিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হোন এক প্রবীণ দম্পতি। টলিউড সুপারস্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, বসবাসের জায়গায় ব্যবসা করছেন তিনি এবং সেখানে তাঁর একটি মিউজিক স্টুডিও রয়েছে। যদিও এই অভিযোগে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেনি হাই কোর্ট। অভিযোগকারীদের কলকাতা পুরসভায় যেতে বলে উচ্চ আদালত। পুরসভা সূত্রে খবর, এবিষয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত জানাবেন পুরসভার লাইসেন্স বিভাগের প্রধান ম্যানেজার।
এপ্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, "আমার কাছে হাইকোর্ট থেকে আসা এবিষয় কোনও তথ্য আসেনি। ঘটনাটি প্রথম শুনছি। আমার নোটিশে বিষয়টা নেই, এজন্যে এই নিয়ে কিছু বলতে পারব না। কিছু ক্ষেত্রে রেসিডেনসিয়াল জায়গা কমার্শিয়াল হিসাবে ব্যবহার করা যায়। তবে সম্পূর্ণ বিল্ডিংয়ে ৪০ শতাংশর বেশি কমার্শিয়াল করা যায় না।
দক্ষিণ কলকাতার একটি আবাসনের বাসিন্দা দেব। তাঁর প্রতিবেশী নিকোলাস ওয়ারেন বার্ড এই মামলাটি করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, মিউজিক স্টুডিয়ো থাকার কারণে দেবের ফ্ল্যাট থেকে গান, বাজনার শব্দ বাইরে আসে। এর ফলে তাঁর অসুস্থ স্ত্রীয়ের অসুবিধা হয়। আবাসন কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়ে কাজ না হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হোন নিকোলাস। গত বছর এ বিষয়ে পুরসভার অবস্থান জানতে চায় আদালত।
পুরসভার আইনজীবী শুভ্রাংশু পাণ্ডা আদালতে জানান, নিজের বাসস্থানে কেউ ছোটখাটো ব্যবসা করলে অনুমতি দেওয়া হয়। এজন্যে দেবকেও লাইসেন্স দেওয়া হয়। এছাড়া এ নিয়ে পুরসভার দায়িত্ব সীমিত। অন্যদিকে দেবের তরফে আদালতে জানানো হয়, কারও অসুবিধা করে কোনও ব্যবসায়িক কাজকর্ম চলছে না আবাসনে। মামলাকারীর আইনজীবী পার্থসারথি দেববর্মন বলেন, "বসবাসের জায়গায় কোনও ভাবেই ব্যবসা করা যায় না। পুরসভার সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি। এরপর আবার বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করব।"
সব আবাসনের নিজস্ব নিয়ম থাকে। দক্ষিণ কলকাতার এই 'হাই প্রোফাইল' আবাসনের ক্ষেত্রেও এরকম নিয়ম রয়েছে। এদিকে মামলাকারী অভিযোগ করেন, দেবকে এরকম কোনও অনুমতি দেননি আবাসন কর্তৃপক্ষ। যদিও এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি হাইকোর্ট। আবাসনের এই সমস্যা নিয়ে প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চ মামলাকারীকে নগর দেওয়ানি আদালতে যেতে বলা হয়। পরে ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি কলকাতা পুরসভার লাইসেন্স বিভাগে স্থানান্তরিত করেন। পুরসভা সূত্রে খবর, সেখানে এই বিষয়ে আলোচনা শেষ হয়েছে। শীঘ্রই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, খুব সম্প্রতি অভিনয়, প্রযোজনা ও সাংসদীয় কাজের বাইরেও নতুন দায়িত্ব এসেছে দেবের কাঁধে। বাংলার পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়েছেন তিনি। গত বুধবার নবান্ন সভাগৃহে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোমোশনের বৈঠকে এই প্রস্তাব দেবকে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।