Advertisement

Durnibar- Oindrila Marriage: শুরু বিয়ের কাউন্টডাউন, দুর্নিবারকে খোলা 'প্রেমপত্র' ঐন্দ্রিলার

Durnibar Saha- Oindrila Sen Marriage: এই মুহূর্তে চলছে বিয়ের জোরদার তোড়জোড়। প্রেমের খবর সামনে আসার পর, নেটমাধ্যম থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাপক আলোচনায় জুটি। 

দুর্নিবার সাহা ও ঐন্দ্রিলা সেন (ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)দুর্নিবার সাহা ও ঐন্দ্রিলা সেন (ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 25 Feb 2023,
  • अपडेटेड 11:51 AM IST

শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন। আর হাতে গোনা কয়েকদিনের অপেক্ষা। এরপরই সাত পাকে বাঁধা পড়বেন দুর্নিবার সাহা (Durnibar Saha) ও ঐন্দ্রিলা সেন /মোহর (Oindrila Sen/ Mohor)। এই মুহূর্তে চলছে বিয়ের জোরদার তোড়জোড়। প্রেমের খবর সামনে আসার পর, নেটমাধ্যম থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাপক আলোচনায় জুটি। 

এবছর বসন্তে টলিপাড়ায় ফের বিয়ের সানাই বাজতে চেলেছে। আর দিন বারো পড়েই গাঁটছড়া বাঁধবেন দুর্নিবার- ঐন্দ্রিলা। সম্পর্কে সিলমোহর দিয়েছিলেন আগেই। কিছুদিন আগে বিয়ের দিনক্ষণ জানিয়েছেন লাভ বার্ডস। ৯ মার্চ বিয়ে করছেন তাঁরা। বিয়ের আসর বসবে হোটেল হিন্দুস্থান ইন্টারন্যাশনাল-এ। ১১ মার্চ রিসেপশন হবে দক্ষিণ কলকাতা সংসদ, ডিকেএস ক্লাবে। বিয়ের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ প্রস্তুতি হয়ে গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন হবু বর- দুর্নিবার। আত্মীয়- পরিজনদের নিমন্ত্রণ করছেন বাবা-মায়েরাই। অন্যদিকে বন্ধু- বান্ধবদের নিমন্ত্রণ করছেন বর- কনে।  

আরও পড়ুন

এদিকে 'ব্রাইড-টু-বি'-এর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে উঁকিঝুঁকি মাড়লেই চোখে পড়ছে হবু বরের সঙ্গে তাঁর আদুরে নানা মুহূর্ত। শনিবার দুর্নিবারের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে ঐন্দ্রিলা লিখেছেন, "সাক্ষী থাকুক শাল, অশ্বত্থ বটের পেয়াদারা, সাক্ষী থাকুক ছাতিম-পলাশ-বুনো ফুলের ঘ্রাণ; সাক্ষী থাকুক কাদায় আঁকা আহত এক থাবা, সাক্ষী থাকুক হাজার বছর হাওয়ার গোরস্থান; সাক্ষী থাকুক মৃগ-নাভীর কস্তুরি ভোরবেলা, সাক্ষী থাকুক সাঁওতালি ক্ষোভ, যক্ষ পিশাচ দল ; সাক্ষী থাকুক বাদুর- ময়ূর উলুধ্বনির খেলা, সাক্ষী থাকুক পাতার পুরুত, হোমের দাবানল।" সম্প্রতি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'এক্স= প্রেম' ছবির 'ভালোবাসার মরসুম' গানে ব্যবহৃত হয়েছিলেন এই কবিতা।"      

 

কিছুদিন আগে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিয়ে নিয়ে সবিস্তারে জানিয়েছিলেন জুটি। ইন্ডাস্ট্রির অতি পরিচিত নাম  মোহর। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জনসংযোগ আধিকারিক তিনি। তাঁর কাছে বিয়েটা 'রঙিন অনুষ্ঠান'। তাই ধুমধাম করেই বিয়ে করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। কীভাবে প্রেম হল? কে কাকে প্রপোজ করল? মোহর সংবাদমাধ্যমকে জানান, "২০২১-র ডিসেম্বরে সামপ্লেস এলসে একটা শো শুনতে যাই। সেখানে ও গাইছিল। পরিচয় হয়, ফোন নম্বর আদানপ্রদান হয়নি। দু' মাস পরে একটা ট্রেলার লঞ্চে আবার দেখা, তখন আমি দুর্নিবারকে জিজ্ঞাসা করি পার্কস্ট্রিটের সেই পাবে যাবে কি না। ও আমার কাছে জানতে চায় 'লক্ষ্মীছাড়া'-র শোয়ে যাব কি না।" 

Advertisement

দুর্নিবারের কথায়, "আমরা ঠিক করি 'লক্ষ্মীছাড়া-র শোয়েই যাব। আমি পৌঁছে যাই। শোয়ে মোহরের পৌঁছাতে দেরি হলে, ওকে ফোন গান শোনাতে শুরু করি। সে ভাবেই ও এসে পৌঁছায়। তখন আমরা দু'জন, দু'জনের উপর একটা টান অনুভব করেছিলাম। সেই রাস্তায় হাঁটতে শুরু করে দিই"। 

আগের বিয়ে, সম্পর্ক ভেঙে, নতুন পথ চলা প্রসঙ্গে দুর্নিবার বলেন, "একাধিকবার বিভিন্ন সম্পর্কে জড়ানোর পর এবং কিছু কিছু সম্পর্ক যে ঠিক নয় বারংবার সেটা বোঝার পর, শেষ পর্যন্ত একটা জায়গায় এসে মনে হল এতদিনে আমার হাতটা শক্ত করে ধরে রাখছে কেউ... মোহর আমার জীবনের সেই মানুষটা। একটা সম্পর্কে এতটা ঠিক কোনওদিন মনে হয়নি নিজেকে।" 

প্রসঙ্গত, গত বছরের মাঝামাঝি সময় বিচ্ছেদের খবর শোনা যায় দুর্নিবার সাহা ও মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের। সে সময় বিচ্ছেদের কারণ হিসাবে মনে করা হয়, তৃতীয় ব্যক্তির কথা।  দুর্নিবারের জীবনে নতুন প্রেমই নাকি, মীনাক্ষীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে ফাটল ধরার কারণ। যদিও একথা সঠিক নয় বলে দাবি করেন নতুন জুটি। 

দুর্নিবার- মীনাক্ষীর কাছাকাছি আসাও কিছুটা রূপকথার মতই ছিল। রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে দেখেই দুর্নিবারের প্রেমে পড়েছিলেন মীনাক্ষী। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ ও একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তাঁরা। প্রায় দু'বছর প্রেম করার পর ২০১৭ সালে আইনি বিয়ে সেরে ফেলেছিলেন এই জুটি। এরপরে দু'জনে এক সঙ্গেই থাকতেন তাঁরা। গত বছর ২১ ফেব্রুয়ারি গাঁটছড়া বাঁধেন জুটি। নিউ টাউনের স্বপ্নভোর-এ বসেছিল দুর্নিবার-মীনাক্ষীর বিয়ের আসর। বিয়ে বাড়িতে কার্যত বসেছিল চাঁদের হাট। 


 

Read more!
Advertisement
Advertisement