'সাদা সাদা কালা কালা রং জমেছে সাদা কালা... তুমি বন্ধু কালা পাখি আমি যেন কি? বসন্ত কালে তোমায় বলতে পারিনি'- এই গান পছন্দ করেন না এরকম খুব বাঙালি আছেন বোধ হয়। গত কয়েক মাস ধরে সকলের মুখে মুখের ফিরছে বাংলাদেশের 'হাওয়া' ছবির (Bangladeshi Film Hawa) এই গান।
মেজবাউর রহমান সুমন (Mejbaur Rahman Sumon) পরিচালিত ও সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড প্রযোজিত 'হাওয়া' (Hawa), গত জুলাই মাসে মুক্তির পর ওপার বাংলায় ব্যাপকভাবে সফল। ছবির জনপ্রিয়তা ছড়ায় এপার বাংলাতেও। কোথায়, কীভাবে দেখা যাবে এই ছবি? অনেকের মনেই ছিল এই প্রশ্ন। এবার ভারতীয় দর্শকদের জন্য রয়েছে সুখবর। ডিসেম্বরেই এদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে 'হাওয়া' (Hawa Kolkata Release)।
সদ্যসমাপ্ত চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে কলকাতায় স্ক্রিনিং হয়েছে 'হাওয়া'। সেই সময় তিলোত্তমায় এক প্রকার 'হাওয়া' ঝড়ের সাক্ষী হয়েছিল শহরবাসী। এই ছবি ঘিরে দর্শকদের উন্মাদনা ছিল নজরকাড়া। নন্দনের বাইরে ছবি দেখার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে দর্শকদের। এমনকী ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে হয়েছে কর্তব্যরত পুলিশকে। যারা দেখতে পারেননি, তাদের অনেকেরই আপসোস ছিল। সেই সমস্ত মানুষের জন্য বড়দিনের আগেই রয়েছে দারুণ খবর। আগামী ১৬ ডিসেম্বর কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গ এবং ৩০ ডিসেম্বর দেশজুড়ে জুড়ে মুক্তি পাচ্ছে 'হাওয়া'। ছবিটির পরিবেশক 'রিলায়্যান্স'।
একটি মাছ ধরার ট্রলারের পুরুষদের যাত্রাকে নিয়ে ছবির গল্প গেঁথেছেন পরিচালক। জীবন এবং সম্পর্কের নানা রহস্য পুনরায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে 'হাওয়া'। কক্সবাজারের একদল দক্ষ মাঝি মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সমুদ্রের গভীরে এক অজানা রহস্যের সন্ধান পায়। তারা এক সুন্দরী- রহস্যময়ী তরুণীর সন্ধান পায় সেখানে। এই ছবির গল্প একটি রূপকথার উপর ভিত্তি করে তৈরি।
প্রসঙ্গত, এর আগে কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রে চলেছে এই ছবি। ৯৫ তম অস্কারের বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম (বিদেশি ভাষা প্রতিযোগিতা) বিভাগে বাংলাদেশ থেকে লড়ায়ের জন্য পাঠানো হয়েছে 'হাওয়া'। পরিচালনার পাশাপাশি এই ছবির কাহিনি লিখেছেন মেজবাউর রহমান সুমন। অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী (Chanchal Chowdhury), নাজিফা তুষি, শরিফুল ইসলাম রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল, রিজভী রিজু, মাহমুদ হাসান ও বাবলু বোস। ছবির সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্ব সামলেছেন কামরুল হাসান। সম্পাদনা করেছেন সজল অলক। এছাড়া সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী এবং আবহ সঙ্গীত রাশিদ শরীফ শোয়েবের।