আলোচনায় রয়েছেন অভিনেতা জিতু কমল (Jeetu Kamal) ও নবনীতা দাস (Nabanita Das)। বিবাহ বিচ্ছেদ হবে জুটির। আইনি প্রক্রিয়া এগিয়ে গিয়েছে অনেকটাই। তবে এখনও ডিভোর্স শংসাপত্র আসেনি। কিছুদিন আগে, সোশ্যাল মিডিয়ায় জিতুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন নবনীতা। আর এরপর থেকেই শিরোনামে তারকা দম্পতি। মাঝে শোনা যায় নানা কথা। এমনকী জল্পনা রয়েছে তৃতীয় ব্যক্তিকে নিয়েও। এমনকী উঠে আসে অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের নামও। এবিষয়ে মুখ খোলেননি 'অপরাজিত' অভিনেতা। তবে সরাসরি ফেসবুক লাইভে এসে সে সব জল্পনা ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন অভিনেত্রী। ৩ অগাস্ট নবনীতার জন্মদিন। বিশেষ দিনে 'বাচ্চা বউ'-এর উদ্দেশ্যে বিশেষ পোস্ট করলেন জিতু।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পুরানো ভিডিও শেয়ার করেছেন জিতু কমল। যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন হচ্ছে নবনীতার। কেকের উপর লেখা, 'শুভ জন্মদিন বউ'। ২০২০ সালের সেই বার্থডে সেলিব্রেশনের মুহূর্ত পুনরায় শেয়ার করলেন জিতু। সঙ্গে ক্যাপশনে লিখলেন, "খুব খুব খুব ভাল থেকো...।" এই পোস্টে নবনীতা এখনও কোনও কমেন্ট করেননি। তবে অভিনেতার ফেসবুক বন্ধু- অনুগামীরা কমেন্ট করেছেন। তাঁদের প্রায় সকলেরই বক্তব্য 'সব ঠিক হয়ে, আবার এক হয়ে যাও...।'
একে অপরের থেকে আলাদা থাকলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি জিতু- নবনীতার। এমনকী কাজের ক্ষেত্রেও পরামর্শ নেন একে- অপরের সঙ্গে। নবনীতাকে নিয়ে মাঝে মধ্যেই পোস্ট করেন জিতু। তবে স্বামীকে নিয়ে বিশেষ কোনও পোস্ট করতে দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে।
একের পর এক ছবিতে একসঙ্গে জুটিতে দেখা যাবে জিতু ও শ্রাবন্তীকে। যার জেরে জল্পনা শোনা যায়, টলি নায়িকার কারণেই নাকি বিচ্ছেদ হচ্ছে তাঁদের। আবার স্টুডিও পাড়ায় কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, এই বিয়ে ভাঙার মূল কারণ নবনীতার জীবনে আগত নতুন মানুষ। এই সব নিয়ে এবার মুখ খুললেন নবনীতা। নিজেদের দাম্পত্য সম্পর্কে বিচ্ছেদ হতে চললেও, নিজেকে এবং স্বামী- জিতুকে নিয়ে কুৎসা মেনে নিতে নারাজ নবনীতা। তিনি বলেন, "আমি যেটা সকলকে জানিয়েছি, সেটা একদমই আমার ও জিতুর পারস্পরিক সিদ্ধান্ত। এখানে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির কোনও রকম কোনও হাত নেই। শ্রাবন্তীদি'র সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক। লন্ডন থেকে ফিরে শুনছি, বলা হচ্ছে ওঁর জন্য আমাদের বিচ্ছেদ হচ্ছে। একদমই না!"
নবনীতা আরও যোগ করেন, "জিতুর সম্পর্কে বলা হচ্ছে, হঠাৎ করে সাফল্যের মুখ দেখে ওঁর ঔদ্ধত্য বেড়ে গিয়েছে, সেটা ঠিক নয়। ও যখন সাফল্য পাচ্ছে আমি ওঁর পাশেই ছিলাম। আমি যখন নতুন কাজ শুরু করলাম (বিয়ের ফুল), তখন দেখা না হলেও, জিতুর সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছি। যেহেতু দু'জনে একই প্রফেশনে আছি, আগামী দিনেও প্রয়োজনে আলোচনা করব। বাড়িতে সময় দেওয়া কমেছিল ঠিকই। কিন্তু সাফল্যের মুখ দেখেও জিতুর মধ্যে কোনও বদল দেখিনি। এটা সম্পূর্ণ আমাদের ব্যক্তিগত কারণে। এখানে কোনও প্রফেশনাল ইগো তৈরিই হয়নি।"
প্রসঙ্গত, বিচ্ছেদের খবর সামনে আসার পর সম্প্রতি নবনীতার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন জিতু। এরপর bangla.aajtak.in-এর তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল অভিনেতার। এপ্রসঙ্গে জিতু স্পষ্ট জানান যে তাঁর ছবি দিতে ইচ্ছা করেছে তাই তিনি দিয়েছেন। ডিভোর্সের চর্চা নিয়ে তিনি একটা শব্দও বলবেন না। জিতু বলেন, "আমার ছবি দিতে ইচ্ছে হয়েছে তাই দিয়েছি। অপনাদের ইচ্ছে করে না ছবি দিতে। আমি এই ডিভোর্স একটা শব্দও খরচ করব না। এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়।"