শিরোনামে কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। প্রাক্তন স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের এক মাসের মধ্যে প্রেমিকা শ্রীময়ী চট্টোরাজের সঙ্গে আইনী বিয়ে সারেন বিধায়ক- অভিনেতা। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিন এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রথমে জানা যায় ৬ মার্চ, একই দিনে বিয়ে ও রিসেপশন পার্টির আয়োজন করেছেন জুটি। বিয়ের এত দিন আগে মেহেন্দি- আইবুড়োভাত অনুষ্ঠান দেখে অবাক হন অনেকেই। সেসময় শ্রীময়ী সংবাদমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করেন। অভিনেত্রী জানান, 'ব্যস্ততার জন্যে সব আগে সেরে রাখছি।'
সত্যি সামনে আসে ২ মার্চ। পরিবার- পরিজনের উপস্থিতিতে এদিন সাত পাকে বাঁধা বলেন টলিপাড়ার চর্চিত 'লাভ বার্ডস'। কাঞ্চন- শ্রীময়ীর বিয়ে, ভাতকাপড়, ঘরোয়া বৌভাতের নানা মুহূর্ত নেটমাধ্যমে ঘুরছে। ৬ মার্চ আয়োজন হয় তাঁদের 'প্রাইভেট' রিসেপশন পার্টির। 'তৃতীয়বার ধুমধাম করে বিয়ে করছেন', 'পরকিয়া করে বিয়ে করছেন', 'বয়সের এত ফারাক' ইত্যাদি নিয়ে ট্রোলিং চলছে শুরুর দিন থেকেই। এই অবধি ঠিক ছিল। তাল কাটল অন্য জায়গায়। একটা ভুল পদক্ষেপেই বিরাট পরিবর্তন আসছে চলেছে দুই তারকার জীবনে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে 'ধিক্কার' রব উঠেছে কাঞ্চন- শ্রীময়ীকে নিয়ে।
জুটির রিসেপশন ভেন্যুর বাইরে এদিন রাখা ছিল দুটি বোর্ড। যেখানে বিয়ে সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ছাড়াও পরিষ্কার করে লেখা আছে একটি লাইন- 'প্রেস, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়িচালকদের ভিতরে প্রবেশ নিষেধ...।' এই বাক্যটিতে চরম অসম্মান, নিকৃষ্ট মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন কাঞ্চন- শ্রীময়ী! এটাই মনে করছে সাংবাদিক ও নেটিজেনরা। এমনকী বহু তারকাও ইতিমধ্যে 'ধিক্কার' জানিয়ে পোস্ট করেছেন। নেটমাধ্যমে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন সকলে। কার্যত বইছে নিন্দার ঝড়। অনেকেই মনে করছেন, এটা তাঁদের 'ঔদ্ধত্যের নির্লজ্জ প্রদর্শন'। সর্বপরি ইতিমধ্যে বাংলা বিনোদন সাংবাদিকদের সর্বাধিকরা কাঞ্চন- শ্রীময়ীকে 'বয়কট'-র ডাক দিয়েছেন।
বলিউডি কায়দায় 'নো ফটো পলিসি'র পথে হাঁটছিলেন কাঞ্চন- শ্রীময়ী। কোনও সংবাদমাধ্যমের প্রবেশের অনুমতি নেই, তা আগেই জানিয়েছেন শ্রীময়ী। কারণ হিসাবে তিনি বলেছিলেন, কাঞ্চনের নাকি পছন্দ নয় এই বিষয়টি। এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি অভিনেতা- বিধায়ক জানান, তাঁদের কঠিন সময়ে যারা পাশে ছিলেন, একমাত্র তাঁরাই নিমন্ত্রিত থাকবেন বিয়ে বাড়িতে। এদিকে বহু সাংবাদিককে নিজেই আইবুড়োভাত বা বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি শেয়ার করেছেন শ্রীময়ী নিজেই, প্রচারের জন্য।
এমনকী bangla.aajtak.in-কেও ব্যক্তিগতভাবে ছবি পাঠান কাঞ্চন-পত্নী। এমনটাও অভিনেত্রী জানান, তাঁর ফটোগ্রাফারদের থেকে সব ছবি, ভিডিও পাওয়া যাবে। এরপরও এহেন আচরণ ভাল চোখে দেখছেন না কেউই। শুধু তাই নয়, কাঞ্চন নিজে অভিনেতার পাশাপাশি একজন জনপ্রতিনিধি। নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়িচালকদের অনুমতি নেই তাঁর তৃতীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে, একথা এভাবে লিখে দেওয়ায় অত্যন্ত অপমানের চোখেই দেখেছেন সকলে।
প্রসঙ্গত, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এরপর ২০২৬ -এ পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। পরের নির্বাচনে তিনি টিকিট পান কি না, বা এই ঘটনার পরে তাঁরা কী পদক্ষেপ নেন, তা সময়ই বলবে।