Advertisement

Mahishasur Marddini: BIFFES 2022-এ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় 'মহিষাসুর মর্দিনী'!

Mahishasur Marddini Film: ১৩ তম বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, এবছর অনুষ্ঠিত হবে ৩ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত ৷ ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ফিল্ম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা স্বীকৃত ভারতের পাঁচটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মধ্যে BIFFES একটি।

'মহিষাসুর মর্দিনী' ছবির দৃশ্যে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়'মহিষাসুর মর্দিনী' ছবির দৃশ্যে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 22 Feb 2022,
  • अपडेटेड 4:35 PM IST
  • BIFFES-র 'এশিয়ান সিনেমা প্রতিযোগিতা'-তে নির্বাচিত 'মহিষাসুর মর্দিনী'।
  • ছবির পরিচালনা করেছেন রঞ্জন ঘোষ।
  • আগামী ৩ থেকে ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ১৩ তম বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব।

চলচ্চিত্র পরিচালক রঞ্জন ঘোষের (Ranjan Ghosh) ছবি 'মহিষাসুর মর্দিনী' (Mahishasur Marddini),  (ইংরাজি- 'অ্যা নাইট টু রিমেমবার') এবার এশিয়ান সিনেমা প্রতিযোগিতায় (Asian Cinema Competition Section) ইরান, ইসরাইল, জাপান, চীন, ফিলিপাইন, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং ভারতের মোট ১৩টি ছবির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নির্বাচিত হয়েছে। 

১৩ তম বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (Bengaluru International Film Festival), এবছর অনুষ্ঠিত হবে ৩ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত ৷ ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ফিল্ম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন (FIAPF) দ্বারা স্বীকৃত ভারতের পাঁচটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মধ্যে BIFFES একটি। যুগ যুগ ধরে যে অন্যায় নারীদের সঙ্গে হয়ে আসছে, তা আজও অব্যাহত। 'মহিষাসুর মর্দিনী' হল নারীদের কাছে সেই ভুলগুলির জন্য ক্ষমাপ্রার্থী একটি চিঠি। গোটা ছবিটি মাত্র একটি লোকেশনের সেটে শ্যুট করা হয়েছে এবং এটি একটি রাতের গল্প। 

 

আরও পড়ুন

'মহিষাসুর মর্দিনী' ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta), শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee), পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chattopadhyay)। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন শ্রীতমা দে, অরিয়ুন ঘোষ, অরুণিমা হালদার, অভ্যুদয় দে, কৌশিক কর, সাহেব ভট্টাচার্য এবং পৌলোমী দাস। সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন শুভদীপ দে, সম্পাদনা অমিত পালের এবং সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন অভিজিৎ কুন্ডু। এই ছবিটি তৈরি হয়েছে পবন কানোদিয়ার প্রযোজনায় এবং  AVA ফিল্ম প্রোডাকশনসের ব্যানারে। 

 

কলকাতার দুর্গাপুজোকে (Durga Puja of Kolkata) হেরিটেজ তকমা (Unesco Intangible Heritage List) দিয়েছে UNESCO। দুর্গাপুজো এমন একটি ধর্মীয়- সাংস্কৃতিক উৎসব যা, অশুভ শক্তির বিনাশ করে শুভ শক্তির জয়কে নির্দেশ করে। ঈশ্বরের নারী রূপের পুজো করা হয় মহাসমারোহে। 'মহিষাসুর মর্দিনী' দেবী দুর্গার অপর নাম। কলকাতায় দুর্গাপুজো শুরু হওয়ার আগের রাতে দশ বছরের মূক-বধির এক নিঃস্ব মেয়ের গণধর্ষণ ও হত্যার দিয়ে এই ছবির গল্প শুরু হয়। স্থানীয় শ্মশান কিংবা কবরস্থানে থাকত মেয়েটি।

Advertisement

 

গল্পের মোড় ঘোরে, এক বাড়িওয়ালা এবং তার চার কলেজ পড়ুয়া ভাড়াটের দিকে। যারা, শেষ মুহূর্তের উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। রাতে কিছু পরিকল্পিত ও অপরিকল্পিত অতিথি আসে সেখানে। নারীদের যে সমস্ত সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, এরপরে একে একে ঘটনাগুলি দেখান হয়। গল্পে ফুটে উঠবে একজন মেয়ে বা মহিলাকে কত বিপদের সম্মুখীন হতে হয় এবং তাদের প্রতি কতটা অন্যায়-পবিচার হয় প্রতিনিয়ত। 

 

পরিচালক জানালেন, "আমরা উৎসাহিত। 'ভারতীয় প্রতিযোগিতা' বিভাগে মনোনীত হলেই আমরা সন্তুষ্ট থাকতাম, কিন্তু 'এশিয়ান সিনেমা প্রতিযোগিতা'-তে নির্বাচিত হওয়া সত্যিই অপ্রত্যাশিত ছিল। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শাশ্বত চ্যাটার্জি, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং কৌশিক কর সকলেই খবরটি শুনে খুব খুশি। আমরা প্রায় দু'বছর ধরে এই ছবিটি তৈরি করেছি। কোভিডের তিনটি ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করেছি। ছবির সঙ্গে যুক্ত সকল কলাকুশলীরা আমার প্রতি তাঁদের বিশ্বাস রেখেছিলেন। এই মর্যাদা পেয়ে আমি অবিভূত। আমাদের এই সুযোগ দেওয়ার জন্য BIFFES ২০২২-র কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।" 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement