Advertisement

Mainak Bhaumik Exclusive: "আমার ছবিতে ঋতুদা-র সিনেমার প্রেক্ষাপট ব্যবহার করেছি..." 'একান্নবর্তী' প্রসঙ্গে মনখোলা আড্ডায় মৈনাক

Mainak Bhaumik: বাঙালির সবচেয়ে বড় পুজো ও যৌথ পরিবার ঘিরে পরবর্তী ছবির গল্প বুনেছেন মৈনাক ভৌমিক। আগামী ১৯ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে মৈনাকের ফ্যামিলি ড্রামা 'একান্নবর্তী, ৫১ নয় এক অন্ন'। তার আগে আজতক বাংলার কাছে অকপট আড্ডা পরিচালকের। 

চলচ্চিত্র পরিচালক মৈনাক ভৌমিক
সৌমিতা চৌধুরী
  • কলকাতা,
  • 17 Nov 2021,
  • अपडेटेड 1:46 PM IST
  • দুর্গা পুজো ও যৌথ পরিবার ঘিরে পরবর্তী ছবির গল্প বুনেছেন মৈনাক ভৌমিক।
  • ছবিতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য ও সৌরসেনী মৈত্র।
  • আগামী ১৯ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে মৈনাকের 'একান্নবর্তী, ৫১ নয় এক অন্ন'।

এক সময়ে যৌথ পরিবারের চলই বেশি ছিল। বনেদি সেই পরিবারগুলি কালের নিয়মে বর্তমানে আলাদা। পরিবারের সদস্যরা সারা বছর একসঙ্গে না থাকলেও, ফি বছর মিলিত হয় বাড়ির দুর্গাপুজোয়। আর বাঙালির সবচেয়ে বড় পুজো ও যৌথ পরিবার ঘিরে পরবর্তী ছবির গল্প বুনেছেন মৈনাক ভৌমিক (Mainak Bhaumik)। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya) ও সৌরসেনী মৈত্র (Sauraseni Mitra)। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে অলকানন্দা রায় (Alakananda Roy) ও অনন্য সেনকে (Ananya Sen)।  

আগামী ১৯ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে মৈনাকের ফ্যামিলি ড্রামা 'একান্নবর্তী, ৫১ নয় এক অন্ন' (Ekannoborti, 51 Noy Ek Onno)। তার আগে আজতক বাংলার কাছে অকপট আড্ডা পরিচালকের। 

 

আজতক বাংলা: 'একান্নবর্তী, ৫১ নয় এক অন্ন'... এরকম একটা নাম কেন? 

মৈনাক: আমার বারবার মনে হয়, যে বাঙালিরা ৮০ সালের পরে জন্মেছে, তাঁদের কাছে 'একান্নবর্তী' মানেটা কি পরিষ্কার? বাংলা ভাষার চর্চা তো একটু কমে গেছে, সেইজন্যে আমি ভাবলাম যদি মজা করে একটু বুঝিয়ে দেওয়া যায় সকলকে। 


প্রশ্ন:  বাঙালি আবেগপ্রবণ... এই ধরনের বিষয়বস্তুর ফলে আরও সহজ হয় দর্শকদের কাছে পৌঁছানো, এই জন্যেই কি বারবার ফ্যামিলি ড্রামা বেছে নেওয়া? 

মৈনাক: সত্যি কথা বলতে এটা বোধ হয় আমার ঋতুপর্ণ ঘোষের ফিল্মোগ্রাফিতে ফিরে যাওয়া। কারণ সেটা দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই আমি বাংলা ছবি করতে এসেছি। আমার এখনও মনে আছে আমি যখন প্রথম ঋতু দা-র 'ঊনিশে এপ্রিল' বা 'উৎসব' দেখেছি, তখন আমার মনে হয়েছিল বাংলা ভাষায় আমিও ছবি বানাবো। ঋতু দা, যে ধরনের মানুষের গল্প বলছে,  যে কলকাতার গল্প বলছে...আমার সেই সময় মনে হয়েছিল, আমিও আমার জগতের গল্পটা বলতে পারবো। 

Advertisement


প্রশ্ন: সেখান থেকেই তার মানে জার্নিটা শুরু?   

মৈনাক: হ্যাঁ, আমার 'চিনি' -র গল্পতে কিন্তু কোথাও একটা আবছা 'ঊনিশে এপ্রিল'-র গল্প আছে। এমনকী 'বেলা মাসির' চরিত্রটা দুটো ছবিতেই রয়েছে। এটা হয়তো একটা পর্যায় যাচ্ছে আমার। অনেকগুলো ছবি বানানোর পর, মনে হচ্ছে শুরুতে ফেরত যাই। যেটা দেখে আমি বাংলা ছবি বানাতে এসেছি, সেই শিকড়ে। 


প্রশ্ন: 'একান্নবর্তী'-তেও কি তাহলে 'উৎসব' বা 'বাড়িওয়ালী'-র ফ্লেবার পাবেন দর্শকরা?   

মৈনাক: 'একান্নবর্তী', একেবারেই আমার একটা মৌলিক গল্প। কিন্তু কোথাও গিয়ে সেই প্রেক্ষাপটটা ব্যবহার করেছি, বলা যায়। 


প্রশ্ন: ঋতু দা-র ছবির প্রেক্ষাপটে কাজ করছেন, কোথাও গিয়ে তুলনা হওয়ার ভয় থাকে? 

মৈনাক: একদমই না। আমি আমার মতো করে সেই সময় যদি ওই ছবিগুলো বানাতাম, তাহলে হয়তো এরকম হতো। আমার চোখ দিয়ে আমার মায়ের গল্পটা আমি এভাবে বলতে চাই। 'চিনি' ও 'ঊনিশে এপ্রিল'-র তুলনা কোনও দর্শকই করেননি। কারণ দুটো ছবি একেবারেই আলাদা। আর প্রেক্ষাপটা ব্যবহার করছি কারণ ওই ছবিগুলির জার্নিটা আমার খুব প্রিয়। 


প্রশ্ন: 'একান্নবর্তী'-তে একটা পরিবারের, বিভিন্ন ক্রাইসিস তুলে ধরছেন সমাজে...

মৈনাক: পুজোর সময় একটা পরিবারের নানা রকমের সমস্যা ফুটে উঠবে এই ছবিতে। 


প্রশ্ন: ছবিতে তিনটি জেনারেশন রয়েছে। আলাদা করে কী বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন? 

মৈনাক: তিনটি জেনারেশন, আলাদা আলাদা ভাবে তাঁদের জীবন কাটাচ্ছেন। সকলের মধ্যে মিল থাকলেও, একটা প্রজন্মের ব্যবধান তো রয়েছেই। আর সেটা তুলে ধরা খুব গুরুত্বপূর্ণ। 


প্রশ্ন: আপনি একান্নবর্তী পরিবারে থেকেছেন?

মৈনাক: সেই অর্থে একান্নবর্তী পরিবার ছিল না। তবে আমার দাদুর বাড়ি সাঁতরাগাছিতে। সেখানে পুজো হত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেভাবে আর সামিল হতে পারি না। অবশ্যই সেটা খুব মিস করি।


প্রশ্ন: সেই মিস করাটাও কি 'একান্নবর্তী' ছবিতে ছোঁয়া পাওয়া যাবে? 

মৈনাক: কিছুটা। সেটা আসতে বাধ্য। গত দু'বছর অতিমারীর জন্য পুজো ঠিক মতো হয়নি। তখন বুঝতে পারি আমাদের কাছে পরিবার কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আর আগে স্বাধীন হওয়াটা খুব 'কুল' (Cool) ছিল। বাড়ি থেকে বেড়িয়ে একটা ফ্ল্যাট কিনলাম, দারুণ ব্যাপার। কিন্তু আমার মনে হয় (হেসে) গত বছর থেকে মাস্ক, স্যানিটাইজার আর আইসোলেশনের পর, মানুষের কাছে ওটা আর 'কুল' নয়। কারণ পরিবারের সঙ্গে অনেক বেশি সংযোগ বেড়েছে। 


প্রশ্ন: এই ছবির চরিত্রগুলি কী মাথায় রেখে বেছেছিলেন? 

মৈনাক: আমার বেশিরভাগ ছবির ক্ষেত্রে, লেখার পর গল্পের চাহিদা অনুযায়ী চরিত্র বেছেছি। এই ছবিতে আমি যে ধরনের মায়ের চরিত্র দেখাচ্ছি সেটায় অপা দি-কেই (অপরাজিতা আঢ্য) সবচেয়ে বেশি ভাল মানাবে। 'জেনারেশন আমি' করেই আমার মনে হয়েছিল অপা দি আর সৌরসেনীর একটা মজার কেমিস্ট্রি রয়েছে, সেটাকে এক্সপ্লোর করা উচিত। কিংবা কৌশিক সেনের সঙ্গে কাজ করা। অনন্যার অভিনয় গুণ... সবটা মিলিয়ে ২০২১ সালে দাঁড়িয়ে কোন চরিত্রে কাকে মানাচ্ছে সেই মতোই দর্শকরাও ছবির বিবেচনা করেন বলে আমার মনে হয়।    


প্রশ্ন: ছবির গান ইতিমধ্যে ট্রেন্ডিং... কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন? 

মৈনাক: একজন শ্রোতা হিসাবে যে গানগুলি আমার শুনতে ভাল লাগে, সে গানটাই ছবিতেও রাখি। প্রসেন ও মৈনাকের সঙ্গে আমি যখন গান নিয়ে বসেছিলাম, ওঁদের শোনানো গানগুলির মধ্যে, যেগুলি শোনার পর আমার আবার গাইতে ইচ্ছে করছে, সেগুলিই ব্যবহার করা হয়েছে। 

Advertisement


প্রশ্ন: বাঙালিদের মূল ফেস্টিভ সিজন শেষ হওয়ার পর 'একান্নবর্তী' মুক্তি পাচ্ছে? কতটা আশাবাদী দর্শকদের নিয়ে? 

মৈনাক: গত বছর যখন 'চিনি' মুক্তি পেয়েছিল, তখন একেবারেই ধারণা ছিল না দর্শকরা আসবেন কিনা। সেই অবস্থাতেও দর্শকরা 'চিনি' দেখলেন এতদিন ধরে। আমি স্বতঃস্ফূর্তভাবে খুব চেষ্টা করেছি, একটা 'ফিল গুড' ও ইমোশনাল ছবি বানানোর। এটাই আমি বিশ্বাস করি, বাকিটা দর্শকদের উপর নির্ভর করছে।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement