১৫ মে সকালে গড়ফার আবাসনের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে (Pallavi Dey)-র ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পল্লবীর আত্মহত্যার ত্বত্ত্ব প্রকাশ্যে (Pallavi Dey Death Mystery) এলেও, তাঁর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করেন দে পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার গ্রেফতার হয় হয় সাগ্নিক (Sagnik Chakraborty)। বুধবার তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়।
এদিকে সাগ্নিক ছাড়াও পল্লবীর বাড়ির তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয় তাঁদের বান্ধবী ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়ের (Oindrila Mukherjee) বিরুদ্ধে। পল্লবীর আকস্মিক মৃত্যুর ((Pallavi Dey Death) পর পরায় এক সপ্তাহ হতে চলল। এরই মাঝে উঠে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়। ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে এবার অভিযোগ তুললেন তিনি। শুধু তাই নয়, সাগ্নিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে, তিনি যৌন হেনস্তার অভিযোগ তোলেন। সাগ্নিকের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনর অভিযোগও অস্বীকার করেন, পল্লবী মৃত্যু রহস্যে নাম জড়ানো ঐন্দ্রিলা।
ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, মাস দুয়েক আগে শহরের এক পার্টিতে তাঁকে যৌন হেনস্থার চেষ্টা করেছিলেন সাগ্নিক। কিন্তু পল্লবীর কথা ভেবেই তিনি থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। তাঁর কথায়, "ওই ঘটনার পরে আমি থানায় অভিযোগ জানাবো বলেও ঠিক করেছিলাম। কিন্তু পল্লবী এসে কান্নাকাটি করে। থানা- পুলিশ করলে ওঁর সম্মানহানি হবে বলে জানায়...।"
ঐন্দ্রিলা আরও বলেন, সাগ্নিককে তিনি সরাসরি চিনতেন না, পল্লবীর সূত্রেই আলাপ। স্কুল ও বাড়ি কাছাকাছি হওয়ায় নাম মাত্র পরিচিতি ছিল। তিনি বলেন, "আজ যদি পল্লবী বেঁচে থাকত,তাহলে আমায় এত কিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হত না। ও-ই আমার পাশে এসে দাঁড়াত...।"
প্রসঙ্গত, পল্লবী দে-র বাড়ির পরিচালিকা জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযোগ করেন, পল্লবীর অনুপস্থিতিতে সাগ্নিকের সঙ্গে ফ্ল্যাটে দেখা করতে আসতেন ঐন্দ্রিলা। এমনকি দু' জনে সময়ও কাটাতেন। পল্লবীর পরিবারের তরফে ঐন্দ্রিলার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়া ও সাগ্নিকের সঙ্গে গোপনে সম্পর্ক রাখা সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।