রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)-এর আরোগ্য কামনা করে নন্দন (Nandan) চত্বরে পোস্টার লাগিয়েছিল সিনেমাপ্রেমী (Cinema Lover)-দের একটি সংগঠন। অভিযোগ, তা লাগানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই খুলে দেওয়া হল। এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব (Kolkata International Film Festival বা KIFF)। জানা গিয়েছে, সাধন বন্দ্যোপাধ্যায় (Sadhan Bandhapadhyay) নামে এক ব্যক্তি ওই পোস্টার লাগিয়ে ছিলেন। কিন্তু তা লাগানোর কিছু সময় পরেই তা খুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি আবার আসবেন এবং পোস্টার লাগাবেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)-এর আরোগ্য কামনা করে ওই ব্যক্তি দুটি পোস্টার এবং প্লাকার্ড লাগিয়েছিলেন।
তবে সেগুলি বেশিক্ষণ ছিল না। মিনিট কয়েকের মধ্যে সেগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। ওই পোস্টারে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)-কে নন্দনের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়েছে। এবং কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব তাঁর হাত ধরেই শুরু হয়েছে বলে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামানা করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, আপনি দ্রুত সেরে উঠুন। আপনার অনুপস্থিতি আমারা অনুভভ করছি। ভাইরাসমুক্ত সাংস্কৃতিক আন্দোলনের জন্য আপনার সেরে ওঠা প্রয়োজন। ওই পোষ্টারটি লাগিয়েছে ফোরাম অব ক্রিয়েটিভ ফিল্ম লাভার্স-কলকাতা (Forum of Creative Film Lovers- Kolkata) নামে একটি সংগঠন। সেখানে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের একটি ছবিও ছিল।
কাল, শুক্রবার কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের শেষ দিন। এর মাঝে ফের নতুন করে ওই পোস্টার বা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আরোগ্য কামনা করে আর কোনও পোস্টার বা ব্যানার লাগানো হয় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ ওই ব্যক্তি বা সংগঠনের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, তিনি বা তাঁরা ফের আসবেন।
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের সঙ্গে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নাম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতেন। এবং তিনি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন প্রায় রোজই নন্দন চত্বরে যেতেন। তবে ২০১১ সালে বামফ্রন্ট বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পর তিনি সেখানে যাওয়ার বন্ধ করে দিয়েছিলেন
২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ করা হয়। সে সময় কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব চলছি। নন্দন চত্বরে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন রাজ্যের বেশ কয়েকজন চিত্রনির্মাতা, কলাকুশলীরা
এবার করোনাভাইরাসের সংক্রণের আশঙ্কায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে সিনেমা দেখানো হলের সংখ্যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাটছাঁট করতে হয়েছে। পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল উৎসবও। প্রতি বছর নভেম্বরের ১০ তারিখে শুরু হয় কলকাতা ফিল্মোৎসব। এবার তা পিছিয়ে জানুয়ারিতে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।