শিরোনামে রণজয় বিষ্ণু। অভিনেতার প্রাক্তন- সোহিনী সরকারের শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের বিয়ে হওয়ার পর থেকে বিতর্ক তাঁর পিছুই ছাড়ছে না। এমনকী একে একে ফের উঠে আসছে তাঁর প্রাক্তন বান্ধবী নাম। এরই মধ্যে সমস্যা বাড়ে রণজয়ের প্রাক্তন - সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার পোস্ট থেকে। ফেসবুকে সায়ন্তনী অভিযোগ তোলেন, রণজয় নাকি তাঁর প্রেমিকাদের এটিএম কার্ডের মতো ব্যবহার করেন। তাঁর এই পোস্টটি লাইক করেন সোহিনী। এদিকে এই বিষয়টি সমর্থন করে সংবাদবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন অভিনেতার আরও একজন প্রাক্তন বান্ধবী প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল।
রণজয়ের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট
এতদিন পরে শেষমেশ মুখ খুললেন রণজয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় নাম না করে প্রাক্তনদের হুঁশিয়ারি দিলেন অভিনেতা। এমনকী আইনী পথে হাঁটার হুমকি দেন তিনি। রণজয় লেখেন, "বিগত দিনের বেশ কিছু খবরে আমি এবং আমার পরিবার ব্যথিত ও মর্মাহত। আমরা পরিবার হিসেবে প্রস্তুত ছিলাম না এরকম অনভিপ্রেত কিছু ঘটনার জন্য। যে ঘটনাগুলোতে আমার ও আমার পরিবারের মানসিক শান্তি বিঘ্নিত। আমার কর্মজীবন ক্ষতিগ্রস্ত। যে সমস্ত মানুষজন আমাকে নিয়ে বিভিন্ন কাল্পনিক ঘটনা ও বক্তব্য পাব্লিক ফোরাম এবং মিডিয়া পোর্টালের কাছে অবতারনা করে বর্তমান সময়ে গুরুত্ব পাওয়ার করুণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রতি পূর্ন সমবেদনা রইল। তবু শুধুমাত্র প্রচারের লোভে আমার ব্যক্তিগত জীবনকে এইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং আমার পরিবারকে পাব্লিক ফোরামে ছোটো করার জন্য আমায় এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই হত। কারন আত্মলোভী, অসৎ কিছু মানুষ হঠাৎ অতীতের কবর খুঁড়ে কিছু মিথ্যে ঘটনার অবতারনা করে শুধু আমাকে ছোটো করছে না,অপমানিত করছে আমার পরিবারকে।"
অভিনেতা আরও লেখেন, "আমি জানি স্যোশাল মিডিয়া বা নিউজ আর্টিকেলে তার প্রত্যুত্তর সম্ভব নয়, কারণ আমার বিরুদ্ধে বলা মিথ্যে কথাগুলো ক্রিমিনাল অফেন্স, এবং কথাগুলো যদি সত্যি হয় আমি ক্রাইমের সাথে যুক্ত। তাই এই সমস্ত মিথ্যে কথার উত্তর আমি আইনী পথেই দেবো।এবং শুধুমাত্র প্রচারের লোভে যারা এই অন্যায় ক্রমাগত করে চলেছেন তাদের যাবতীয় উত্তর আইন দেবে। আমি এবং আমার পরিবারের মর্যাদা যারা শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থ আর ক্ষুদ্র প্রচারের লোভে ক্ষুন্ন করলেন তাদের মানসিক সুস্থতা কামনা করি।"
কী লিখেছিলেন সায়ন্তনী?
সোশ্যাল মিডিয়ায় সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা লিখেছিলেন, "প্রাক্তন প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর সেটা কে নিয়ে পাবলিশিটি করতে খুব কম গুণী মানুষই পারেন। এরা হল তারা যারা মৃত শবের পাশে শুয়েও ইন্টারভিউ দিতে পারেন, কারণ পাবলিক সিম্প্যাথি বাড়লে এদের ফলোয়ার্সও বাড়বে, তার সঙ্গে সুবিধা হবে নেক্সট গার্লফ্রেন্ড থুরি নিউ এটিএম কার্ড জোগাড় করতে। আসলে সোনার ডিম্ পারা মুরগি চলে গেলে খারাপ তো সকলেরই লাগে। আমার মনে হয় নিউ এটিম কার্ড থেকে বোধ হয় এখনও টাকা তোলা যায়নি। যাক মেয়েরা সতর্ক থাকুন এই সব কালজয়ী অভিনেতাদের থেকে, যারা পর্দাতে এবং বাস্তব জীবনে একসঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় করে যাচ্ছে। হায় রে নির্বোধ দর্শক !!!"
রণজয়ের প্রাক্তন কারা ছিলেন?
টেলি দুনিয়ার পরিচিত নাম অস্মিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে নাকি সম্পর্কে ছিলেন রণজয়। ২০০৯ সালে এই সম্পর্ক গড়ে উঠলেও, ২০১০ -এ এই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপর রণজয় সম্পর্কে জড়ান মডেল-অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার সঙ্গে। ২০১০ থেকে ২০১৩ তিন বছরের সম্পর্ক ছিল রণজয়-সায়ন্তনীর। এছাড়াও এক সময় হিন্দি টেলি দুনিয়ার পরিচিত মুখ শিবাঙ্গী শর্মার সঙ্গেও নাকি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেতা। তবে এক বছরের মধ্যেই সেই সম্পর্কও শেষ। রণজয়ের জীবনে ফের বসন্ত আসে ২০১৫ সালে। টেলি অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা মণ্ডলের সঙ্গে প্রায় বছর তিনেকের সম্পর্ক ছিল তাঁর।
২০১৯ সালে মডেল অন্তরা চৌধুরীর সঙ্গে কয়েক মাস সম্পর্কে থাকার পরে, সেটাও ভেঙে যায়। এরপর ২০২০ সাল নাগাদ রণজয়ের জীবনে আসেন সোহিনী। লকডাউনের সময় সহবাস করতেন রণজয়-সোহিনী। মাঝে ব্রেকআপ হলেও তাঁরা ফের কাছাকাছি এসেছিলেন। কিন্তু গত বছর পাকাপাকিভাবে পথ আলাদা হয়ে যায় দু'জনের। ইন্ডাস্ট্রিতে বর্তমানে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, শ্যা টেলি নায়িকা শ্যামৌপ্তি মুদালির সঙ্গে প্রেম করছেন অভিনেতা।