রবিবার বেলা ১২.১৫ মিনিটে প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রাকাশে সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ আরও অনেকে। কেউ লিখছেন, বিদায় 'ময়ূরবাহন'। কেউ লিখছেন, চির নিদ্রায় 'অপু'। কেউবা লিখছেন, চির শান্তিতে 'ফেলু মিত্তির'।
সেলুলয়েডে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় 'ফেলুদা' মোটে দুবার। 'সোনার কেল্লা' এবং 'জয় বাবা ফেলুনাথ'। তাতেই জনপ্রিয়তায় হার মানিয়েছেন অনেককেই। সৌমিত্র পরবর্তী ফেলুদারা কী বলছেন?
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ঠিক পরেই ফেলুদা চরিত্রে যাঁকে দেখা যায়, তিনি হলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। তিনি বলছেন, ''সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আমার এক আদর্শ। আমার অভিভাবক। আমার মত অনেকের অনুপ্রেরণা। ওনার সঙ্গেই টিভিতে প্রথম কাজ এবং সিনেমাতেও। ওনার আশীর্বাদেই কাজ করে চলেছি। অনেক পুরনো কথা মনে পড়ছে। আজ সবই স্মৃতি। উনি ছিলেন এক নম্বর ফেলুদা, আমরা সবাই তারপরে। ওনার শেখানো পেশাদারীত্ব, কাজের প্রতি উৎসর্গীকৃত মনোভাব, আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছে।''
আবীর চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বটগাছের মত। একটা ইনস্টিটিউশন। ''এরকম একটা মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি, সেটাই অনেক। শুধু অভিনয় নয়, তাঁর বাচনভঙ্গী, রুচি, শিক্ষা, লেখা, সিনেমা, কবিতা, নাটক সবটাই একটা বটগাছের ন্যায়। এরকম নায়ক পরবর্তীকালে পাওয়া যাবে না। ওই সিংহাসনে কেউই বসতে পারবেন না। ওনার মত প্রবাদপ্রতীম শিল্পী জীবনের অংশ। সৌমিত্র পরবর্তী ফেলুদা আমি করলেও ওই জায়গায় নিজেকে কোনওদিন বসাতে পারব না। ফেলুদা একমাত্র সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ই থাকবেন।''
পর্দায় আবার ফেলুদাকে ফেরত আনছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়। 'ফেলুদা'র চরিত্রে টোটা রায়চৌধুরী। তিনি বললেন, ''ব্যাক্তিগত ভাবে অনেক কিছু শিখেছি। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে জানতে চেয়েছি। উনি কোনও দ্বিধা না করেই একেবারে হাতে ধরে শিখিয়ে দিয়েছেন। ভেবেছিলাম 'ফেলুদা ফেরত' ওনাকে দেখাতে পারব। আমি ওনাকে অনুকরণ করতেই যাইনি। আমার পুরো টিমের কাছে উনি ধ্রুবতারা হয়েই ছিলেন।