শিরোনামে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (রRituparna Sengupta)। টলিউড অভিনেত্রীকে ফের তলব এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) অর্থাৎ ইডির (ED)। এবার রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলার (Ration Scam Case) তদন্তে, নায়িকাকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের দাবি, আগামী ৫ জুন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ঋতুপর্ণাকে হাজিরা দিতে হবে। এদিকে আগামী ৭ জুন মুক্তি পাচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সেরা ও সফল জুটি প্রসেনজিৎ- ঋতুপর্ণার ৫০ তম ছবি 'অযোগ্য'। ছবি মুক্তির ঠিক ২ দিন আগেই ইডির অফিসে যেতে হবে ঋতুপর্ণাকে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এই খবরে সরগরম ইন্ডাস্ট্রি। এবার ঋতুপর্ণাকে নিয়ে মুখ খুললেন শ্রীলেখা মিত্র। নিজের সোশ্যাল পেজে খবরের একটি লিঙ্ক শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন, 'বড় হওয়ার সহজ উপায়...।' এরপর সৌরভ দত্ত নামের এক ব্যক্তির একটি পোস্ট শেয়ার করেন নায়িকা। সেই পোস্টে লেখা ছিল "রোজভ্যালি, রেশন - অনেক দুর্নীতিতেই নাম জড়াচ্ছে ঋতুপর্ণার। কিন্তু, টলিউড ইন্ডাস্ট্রি থাকবে নীরব! এই মেরুদন্ডহীনতা নিয়ে এরাই আবার মাঝে মধ্যেই জ্ঞানের যত দার্শনিক উক্তি করে...।" পোস্টট শেয়ার করে তাঁর ক্যাপশনে শ্রীলেখা লেখেন, "যাক কেউ কেউ বোঝে তাহলে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কিন্তু চুপ...।"
এপ্রসঙ্গে bangla.aajtak.in-র তরফে যোগাযোগ করা হয় শ্রীলেখাকে। তিনি বলেন, "আমি একটা কথাই লিখেছি, বড় হওয়ার সহজ উপায়। বড় হতে গেলে ইডির তলব পেতে হয়। বাকি আমি আর কিছু জানি না। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্য কেউ এবিষয়ে বেশি ভাল বলতে পারবে। সকলেই জানে শ্রীলেখা মিত্র এধরনের কথা বলে। এর আগেও একবার ঋতুপর্ণার কাছে ইডির তলব গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে আমার কিছু বলার নেই, শুধু খবরটা শেয়ার করেছি মাত্র।"
সংবাদমাধ্যমকে ঋতুপর্ণা জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে 'ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে...।' এই কথা বলতেই শ্রীলেখা মজা করে বলেন, "শ্রীলেখা মিত্র ষড়যন্ত্র করছে? (হেসে)। ঋতু কী বলেছে সেটা জানার আমার কোনও আগ্রহ নেই। চোর যদি চুরি করে, খুনি যদি খুন করে, সে কি বলবে হ্যাঁ আমি খুন করেছি?"
প্রসঙ্গত, বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু পর স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছিল বি-টাউনে। সেই সময় টলিউডেও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে সরব হন শ্রীলেখা মিত্র। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন অভিনেত্রী। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সহ একাধিক তারকার নাম উঠে আসে শ্রীলেখার কথায়।
অভিনেত্রী বলেন, "এই ইন্ডাস্ট্রিতে গডফাদার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গডফাদার হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি কোনও কিছুর বিনিময়ে তোমায় কাজ পাইয়ে দেবেন। আমার সেই অর্থে কোনও গডফাদার ছিল না। সেসময় মূলত, প্রসেনজিৎ, চিরঞ্জিত, তাপস দা (তাপস পাল) ইন্ডাস্ট্রি চালাত। তার মধ্যে বুম্বাদা (প্রসেনজিৎ) নম্বর ওয়ান, তিনি ইন্ডাস্ট্রি। সেসময় আমাকে প্রথমেই নায়িকার চরিত্র দেওয়া হয়নি। পার্শ্ব চরিত্রই করতে হয়েছে। আমার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও। কারণ, তখন ঋতুপর্ণার সঙ্গে প্রসেনজিৎ-এর প্রেম। কারণ, মূলত বুম্বাদাই ইন্ডাস্ট্রি চালাত। ঋতুপর্ণা দেরি করে আসতেন, তারপরও তাঁকেই নায়িকার চরিত্রে নেওয়া হত। সেকারণেই টেলিভিশনেই বেশি কাজ করতে শুরু করি। আমি তো কারও সঙ্গে জুটিই করতে পারলাম না।