অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র বাম মনোভাব সম্পন্ন এ কথা কিন্তু সকলেই জানেন। দলটা না করলেও তিনি মনে-প্রাণে সিপিএম সমর্থক সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। শেষ হয়েছে সপ্তম দফার লোকসভা নির্বাচন। চলছে গণনার কাজ। আর তারই মাঝে মন ভাঙল শ্রীলেখার। তবে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দিলেন তিনি কখনই বদলে যাবেন না।
তৃণমূল-বিজেপির পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থীরাও তাঁদের ভাগ্য পরীক্ষা করার জন্য প্রার্থী হয়েছেন। সৃজন, সায়ন, দিপ্সিতা, সোনামনি টুডু, মহম্মদ সেলিম সহ আরও অনেকে। কিন্তু যতই গণনা এগিয়েছে একাধিক জায়গা থেকে বাম প্রার্থীদের পিছিয়ে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। আর সকাল থেকে সবার মতো শ্রীলেখাও টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন। আর তখনই তিনি বুঝতে পারলেন তাঁর পছন্দের দলের প্রার্থীরা ক্রমশঃ পিছিয়ে পড়ছেন। আর তাতেই বেশ মর্মাহত শ্রীলেখা। তিনি একটি ছবি পোস্ট করেছেন, যেখানে লেখা এ হৃদয় দপ্তর পাল্টাছেনা। ছবিতে কাস্তে-হাতুড়ি-তারার চিহ্ন। এই ছবি পোস্ট করে শ্রীলেখা লিখেছেন, লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফলাফল যাইহোক।
প্রসঙ্গত, শ্রীলেখা বরাবরই বাম সমর্থক। তাঁকে আগেও বামেদের একাধিক সভাতে দেখা গিয়েছিল। যদিও তিনি দলটা সক্রিয়ভাবে না করলেও তিনি যে সিপিএমকে ভালোবাসেন তা স্পষ্ট। চলতি নির্বাচনে বেশ কিছু আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী দিয়েছিল বামফ্রন্ট। দমদমে সুজন চক্রবর্তী, যাদবপুরে সৃজন, শ্রীরামপুর লোকসভায় দীপ্সিতা ধর-- কোথাও ছিড়ল না শিঁকে। নিসন্দেহে হতাশা বাম সমর্থকদের। আর সমর্থকদের মধ্যে শ্রীলেখাও রয়েছেন।
এবারে লোকসভা ভোটের প্রচারেও অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল শ্রীলেখা মিত্রকে। সিপিআইএম নেতৃবৃন্দ ব্যারাকপুরে কেন্দ্রের জন্য ভরসা করেছিলেন তারকা প্রার্থী দেবদূত ঘোষের উপরে। সেই প্রচারে গিয়েছিলেন শ্রীলেখা। প্রচারের সময়ও শ্রীলেখাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘৫০০ বা ১০০০ টাকার জন্য নিজেদের বিবেককে বিসর্জন দেবেন না প্লিজ’। যাদবপুর কেন্দ্রে সৃজন ভট্টাচার্যের হয়েও প্রচার করেন, দিপ্সিতাকে পাশে নিয়ে।
সুধীর মিশ্রের হিন্দি ওয়েব সিরিজ়ে (‘সামার অফ ’৭৭— চিলড্রেন অফ ফ্রিডম’) প্রায় নিঃশব্দে অভিনয় করে শহরে ফিরলেন শ্রীলেখা মিত্র। বলিউডে কাজ করছেন। অথচ কেউ ঘুনাক্ষরেও টের পেলেন না। সম্প্রতি সুধীর মিশ্রের সঙ্গে ছবি দিতেই গোটা বিষয়টা সামনে আসে। তবে এই সিরিজে তিনি কোন চরিত্রে রয়েছেন, তা এখনই জানাতে নারাজ অভিনেত্রী।