প্রয়াত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী ওস্তাদ রশিদ খান (Ustad Rashid Khan)। মঙ্গলবার শহরের একটি বেসরকারি হাসাপাতালে বিকেল ৩.৪৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বছরের শুরুতেই দুঃসংবাদ বিনোদন জগতে। সঙ্গীত জগতের এই নক্ষত্রপতনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদন জগৎ তথা গোটা দেশে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারকারা স্মৃতিচারণ করছেন শিল্পীর। ওস্তাদ রশিদ খানের কিছু অদেখা মুহূর্ত সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন মীর আফসার আলি।
গানের রিয়্যালিটি শো 'সঙ্গীতের মহাযুদ্ধ'-র বিচারক আসনে বসেছিলেন রশিদ খান। এই শোয়ের সঞ্চালক ছিলেন মীর। সেই সময়ে মেকআপ রুমের কিছু সুন্দর মুহূর্ত লেন্সবন্দী করেছিলেন জনপ্রিয় সঞ্চালক, রেডিও জকি তথা অভিনেতা। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মেকআপ রুমের আয়নার টেবিলের উপর রাখা বিরিয়ানির হাঁড়ি। নিজের হাতে সকলকে খাবার বেড়ে দিচ্ছেন ওস্তাদ রশিদ খান। মীর সহ বাকিদের জন্য নিজের হাতে বিরিয়ানি রান্না করে এনেছেন ওস্তাদজি। শুধু তাই না, মীর জানালেন এই বিরিয়ানিটি তিনি রেঁধেছেন আগের দিন রাত আড়াইটের সময়।
ওস্তাদ রশিদ খান খেতে ও খাওয়াতে দুটোই ভালোবাসতেন। তাঁর হাতের রান্নাও নাকি ছিল দুর্দান্ত। সিনে দুনিয়ার সহকর্মীরাও প্রায়ই আবদার করতেন তাঁর রান্না করা খাবার খাওয়ার। তিনিও খুশি মনে প্রায়ই খাওয়াতেন বিরিয়ানি, কাবাব ইত্যাদি। শিল্পীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে সেই স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছেন বহু তারকা।
গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ওস্তাদ রশিদ খান। গত নভেম্বর মাসে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ায় তড়িঘড়ি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল শিল্পীর। অনেক দিন ধরে ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করতে পারছিলেন না। ফলে রাইলস টিউবে খাওয়ানো হচ্ছিল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তবে মঙ্গলবার সকালে আচমকাই ছন্দপতন হয়। সংক্রমণ বেড়ে তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হয়। ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
প্রসঙ্গত, উস্তাদ রশিদ খানের জন্ম উত্তরপ্রদেশের বাদাউনে। ছোটবেলা থেকেই তিনি বেরে উঠেছে সঙ্গীত পরিবারে। উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খানের ভাগ্নে তিনি। কাকাই প্রথম শিল্পীকে মুম্বই নিয়ে যান। সেখানেই গানের তালিম নেন। এরপর উস্তাদ নিসার হুসেন খানের কাছে বাড়িতেই গানের তালিম নেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তাঁর বিপুল পরিচিতি। যদিও এর পাশাপাশি একাধিক ছবির গান গেয়েছেন তিনি। 'যব উই মেট', 'কিসনা', 'হাম দিল দে চুকে সনম', 'মাই নেম ইজ খান', 'রাজ ৩'-র মতো বলিউড ছবির পাশাপাশি 'মিতিন মাসি', 'বাপি বাড়ি যা', 'কাদম্বরী'-র মতো বাংলা ছবিতেও রয়েছে তাঁর গান।