ভারতে করোনা ভাইরাসের (COVID-19) দৈনিক কেস ক্রমাগত আড়াই লাখের উপরে রয়েছে। ১৭ জানুয়ারি, দেশে কোভিডের নতুন ২.৫৮ লক্ষ কেস নথিভুক্ত হয়েছে। কোভিডের কারণে এখন পর্যন্ত দেশের ৪.৮৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত, ১১টি রাজ্য রয়েছে যেখানে কোভিডের সক্রিয় কেস ৫০ হাজারেরও বেশি। পাশাপাশি, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল এবং উত্তরপ্রদেশে কোভিডের সক্রিয় কেস ১ লাখ ছাড়িয়েছে।
দেশে ওমিক্রনের কারণে আসা করোনার তৃতীয় তরঙ্গ এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। টানা ৫ দিন ধরে প্রতিদিন ২ লাখের বেশি। আতঙ্কের বিষয় হল, নতুন রোগীর তুলনায় সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা কম। যে কারণে ক্রমাগত বাড়ছে সক্রিয় কেসের (active case) সংখ্যা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে দেশে যত জন রোগী সুস্থ হয়েছেন, তার দ্বিগুণেরও বেশি সংখ্যক মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত্রের সংখ্যাও ৮ হাজার ছাড়িয়েছে।
৯ জানুয়ারি দেশে ৪৭ হাজারেরও কম রোগী সুস্থ হয়েছেন। ওই দিন ১.৭৯ লাখ মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। একই ভাবে, ১৬ জানুয়ারি, দেশে ২.৫৮ লক্ষ নতুন কেস নথিভুক্ত হয়েছিল এবং ওইদিন দেশে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ১.৫১ লক্ষ।
ভারতে করোনার সক্রিয় কেসের (active case) সংখ্যা ১৬ লাখ ছাড়িয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১৬ লক্ষ ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে। বর্তমানে কোভিডের সক্রিয় কেসের (active case) সংখ্যা ২৩০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় কোভিডের সক্রিয় ক্ষেত্রে প্রায় ১.০৬ লক্ষ বেড়েছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৫ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক ১৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে কেরলে এবং তারপরেই পশ্চিমবঙ্গে ৩৬ জন কোভিডে মারা গেছেন।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৪ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ৭০% কোভিড মৃত্যুর মধ্যে ওই রোগী ইতিমধ্যেই কোনও না কোনও গুরুতর রোগে ভুগছিলেন। অর্থাৎ, ১০ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৭ জনেরই মৃত্যুর কারণ কমরবিডিটি।