শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৩২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে দেশের ২৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে মোট ৩,৬২৩টি ওমিক্রন (Omicron) কেস নথিভুক্ত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩,৬২৩ জন ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১,৪০৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ওমিক্রনের কারণে দেশে শীঘ্রই তৃতীয় তরঙ্গ (COVID-19 Third Wave) তার শীর্ষস্তরে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (IISc), ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট (ISI), আইআইটি কানপুরের (IIT Kanpur) গাণিতিক মডেল ভিত্তিক সমীক্ষার রিপোর্টগুলি। এ সবের মধ্যেই NTAGI-এর চেয়ারম্যান ডঃ এন কে অরোরা এই সংক্রান্ত আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছেন।
ডঃ অরোরা জানান, এখন তৃতীয় ঢেউ এসে ঠেকেছে। এটি খুবই বিপজ্জনক এবং এই ভাইরাসটি আগের মতোই আচরণ করছে। পৃথিবীর সব পশ্চিমা দেশে আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ছে এবং ভারতেও এর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে।
ভারতে এক সপ্তাহে কেস বহুগুণ বেড়েছে। সংক্রমণের গতি নির্ভর করবে আমরা কতটা করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলব, তার উপর। ডঃ অরোরার দাবি, প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই Omicron ভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের থেকেই ছড়িয়ে পড়ছে।
ডঃ অরোরা আরও বলেন, আগামী দিনে করোনার দৈনিক সংক্রমণের হার আরও বাড়বে। ওমিক্রন কোভিডের থার্ড ওয়েভকে আরও ভয়াবহ আরও সংক্রামক করে তুলেছে।
ডঃ অরোরা জানান, ডেল্টা ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রে অনেকেরই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয়েছিল। তবে ওমিক্রনের ক্ষেত্রে এখনও তেমনটা হয়নি। তবে তা সত্ত্বেও শিশু ও বয়স্কদের আরও বেশি সতর্ক থাকার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
ওমিক্রন নিয়ে খুব বেশি আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছেন NTAGI-এর চেয়ারম্যান ডঃ এন কে অরোরা। তবে তা সত্ত্বেও করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছেন তিনি।