Delhi Pollution: দেশে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি এখন মোটের ওপর স্থিতিশীল বলা যেতে পারে। উৎসবের মরশুমের পরবর্তী সময় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। সেই আশঙ্কা কিছুটা রয়ে গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত যা অবস্থা সংক্রমণ যেন নিয়ন্ত্রণে রাখা গিয়েছে।
তবে এরই মাঝে দূষণের কারণে ভয়ের কথা শোনাল এইমস। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সস (All India Institute of Medical Sciences) বা এইমস (AIIMS)।
এইমস (AIIMS)-এর অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, দিল্লির বাতাস সিগারেটের থেকেও ক্ষতিকর। আর সে কারণে দিল্লির বাসিন্দাদের আয়ু অনেকটাই কমে যাচ্ছে। এর কারণ দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়া।
এইমস (AIIMS)-এর অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে দিল্লির বাসিন্দাদের জীবনের আয়ু অনেকটাই কমে গিয়েছে। সেই তথ্য আরও যাচাই করে দেখতে হবে। তবে দিল্লির মানুষের জীবনের মেয়াদ কমেছে, দূষণের কারণে, সন্দেহ নেই। দিল্লিবাসীদের ফুসফুস কালো হয়ে গিয়েছে।
তাঁর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় বাজির কারণে দূষণ হয় না বলে দাবি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, গাঙ্গেয় অববাহিকায় দূষণ খুবই বেশি। দিওয়ালিতে বাজি পোড়ানো সেটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। উৎসবের সময় যানবাহনের যাতায়াত বেড়ে যায়। সেটাও দূষণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম বড় কারণ।
২০১৭ সালের পর থেকে এ বার দিওয়ালি পরবর্তী সময়ে দিল্লির বাতাসের অবস্থা সবথেকে খারাপ। এর কারণ এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে বাজি পোড়ানো এবং নাড়া পোড়ানো।
গত ২৪ ঘণ্টার এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স (AQI) পৌঁছেছে ৪৬২-তে। এমনই জানাচ্ছে সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড সিপিসিবি (CPCB)।
এইমস (AIIMS)-এর অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া আরও জানান, দূষণ বেড়ে যাওয়ার জন্য করোনার সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, রোগীদের ফুসফুসের সমস্যা বাড়ছে। তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস দূষণকারী পদার্থ কণার সঙ্গে লেগে থাকে। আর তাই এই কারণে কোভিড সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে।
গত বছর করোনা সংক্রমণের কারণে বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা ছিল। এবার দেদার বাজি ফেটেছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে। দীপাবলি (Deepavali) বা দেওয়ালি (Dewali)-র সময় বাজির পোড়ানো নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই অভিযোগ উঠছে।