COVID Rules: করোনাবিধি (Corona Guidelines) তোয়াক্কা না করে সরকারি হাসপাতালের কাছেই জলসা। এমনই অভিযোগ উঠল ঝাড়গ্রাম (Jhargram) সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল ও করোনা হাসপাতালের সামনে।
সেখানে সমানে তীব্র স্বরে মাইক বাজিয়ে উদ্যাম নৃত্য চলল কালীপুজা কমিটির সদস্যদের।
আর হাসপাতাল (Jhargram Super Speciality Hospital)-এ চিকিৎসাধান রোগীরা নাজেহাল। রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে তাঁদের। বাইরে হইহল্লা, চিৎকারের জেরে টেকা দায়।
বেশ খানিকক্ষণ এই অত্যাচার সহ্য করতে হয় তাঁদের। পরে পুলিশ অভিযোগ পেয়ে হস্তক্ষেপ করে।
পাশাপাশি মানিকপাড়ায় একসঙ্গে প্রায় হাজার লোকের জমায়েত করে ডিজে বাজিয়ে উদ্দাম নৃত্য।
যদিও পুলিশ ধরপাকড় করেছে। দু'জায়গায় আটক করা হয়েছে। অভিযান চালানো হয়েছে।
রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, রাত ১০টার পর মাইক বাজানো মানা। তার ওপর হাসপাতালের সামনে তো নয়ই।
সেই নিয়ম না মেনে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) শহরে একটি কালীপুজা (Kali Puja) কমিটি গভীর রাত পর্যন্ত উৎশৃঙ্খলা চালিয়ে যায়।
রাতে ঝাড়গ্রাম থানার আইসি গিয়ে ক্লাব সদস্যদের আটক করে সমস্ত কিছু বাজেয়াপ্ত করে মামলা রুজু করে।
নবচেতনা নামে এই ক্লাবের নিজস্ব কোনও জায়গা নেই। শিশুদের একটি পার্ক দখল করে কালীপুজো করে। এমনই অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে স্থানীয় মানুষের মনে ক্ষোভ রয়েছে।
এই পার্কের ১৫০ মিটারের মধ্যে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং করোনা হাসপাতাল।
পার্ক চত্বর ঘিরে অ্যাডিশনাল এসপি, এসডিও, এসডিপিওর বাংলো। তার পরও এই করোনা আবহে নিয়ম না মেনে রাতে এলাকায় জমায়েত ও বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে।
হাসপাতালের রোগীরা মাইকের আওয়াজে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। এর পরেই কড়া মনোভাব নেয় ঝাড়গ্রাম (Jhargram) থানা। শুরু হয় ধরপাকড়। আর তারপর স্বস্তি পান হাসপাতালে রোগী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।
নাগরিক কমিটির তরফ থেকে অধ্যাপক পার্থব্রত মাইতি পুলিশের এই ভূমিকাকে সাধুবাদ জানান। তিনি দাবি করেন, শিশুদের খেলার পার্কে পুজো (Kali Puja)-র অনুমতি দেওয়া অন্যায় হয়েছে।
তাঁর আরও অভিযোগ, অপর দিকে প্রশাসন বারবার বলা সত্ত্বেও করোনাবিধিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে হাজার খানেক লোক নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত ডিজের আসর বসায়। শেষে পুলিশ গিয়ে সব বন্ধ করে।
এমন ঘটনা যেন আর না হয়, স্থানীয় বাসিন্দারা সেই দাবি তুলেছেন।