ক্রমশই জাল বিস্তার করছে ওমিক্রন (Omicron)। করোনার (Corona Virus) নতুন এই ভ্যারিয়ান্টে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ভারতেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
এদিকে এরই মাঝে দেশে ১৮ বছরের নিচে টিকাকরণ শুরু হচ্ছে চলেছে। বড়দিনের সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন, আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫-১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হবে।
একইসঙ্গে বুস্টার ডোজ বা সতর্কতামূলক টিকা (Precautionary Dose) দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথমসারির কোভিড যোদ্ধাদের। পাশাপাশি ৬০ বছরের বেশি যে সমস্ত ব্যক্তিদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে তাঁদেরও দেওয়া হবে এই বুস্টার ডোজ।
আর এই বুস্টার ডোজ বা সতর্কতামূলক টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে।
কিন্তু কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরেই কোনও কোনও মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, যেখানে দেশে টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর প্রথমেই কোভিড যোদ্ধা এবং বয়স্কদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেখানে ফের কেন এই বুস্টার ডোজ বা সতর্কতামূলক টিকার প্রয়োজন পড়ল? তবে কি টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও সুরক্ষিত নন মানুষ? নাকি কমতে শুরু করেছে টিকার কার্যক্ষমতা?
যদিও এই প্রসঙ্গে ভাইরোলজিস্ট হিরন্ময় মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, 'এখানে ভ্যাকসিনের প্রভাব কমার কথা বলা হচ্ছে না, বরং টিকাকরণের ফলে শরীরে যে অ্যন্টিবডি তৈরি হচ্ছে তাকে আরও শক্তিশালী করার জন্যই এই বুস্টার ডোজ (Booster Dose)। প্রথমেও এর পরিকল্পনা ছিল। এতে ভালই হবে।'
এমনকী ভবিষ্যতে নতুন কোনও ভ্যারিয়ান্টের খোঁজ মিললে আরও বুস্টার ডোজের দেওয়াও অসম্ভব কিছু নয় বলেই কার্যত মনে করেন তিনি।