ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ভারতে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা সামনে এল। ভ্যাকসিন নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৮ বছর বয়সী এক নাগরিকের। কেন্দ্রের তরফে গঠিত প্যানেলের রিপোর্টই এই কথা প্রকাশ্যে এসেছে। ইতিমধ্যেই সেই রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে ইন্ডিয়া টুডের হাতে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর শরীরে কোনও গুরুতর অসুস্থতা এলে বা মৃত্যু হলে তাকে বলা হল অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোয়িং ইমিউনাইজেশন (AEFI)। আর এই এইএফআই-এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই একটি কমিটি গঠন করেছে।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত যে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে সেগুলির কারণ পর্যালোচনা করে দেখেছে এই কমিটি। তারপর কমিটি এই সিদ্ধান্ত উপনিত হয়েছে যে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ৬৮ বছর বয়সী একজনের এনাফিলেক্সিসে মৃত্যু হয়েছে। এটা এক ধরনের অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া। চলতি বছরের ৮ মার্চ তিনি ভ্যাকসিন নেন, আর কিছুদিন পরেই তাঁর মৃত্যু হয়।
কী বললেন কমিটির চেয়ারম্যান?
AEFI কমিটির চেয়ারম্যান এনকে অরোরা ইন্ডিয়া টুডেকে এই মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে এই বিষয়ে আর কিছু বলেননি তিনি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, "ভ্যাকসিনের কারণে এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত প্রতিক্রিয়ার খবর সামনে এসেছে, তা আগে থেকেই প্রত্যাশিত ছিল। বর্তমান বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে এগুলির জন্য ভ্যাকসিনকেই দায়ি করা যেতে পারে। এই ধরনের প্রতিক্রিয়া অ্যালার্জি সংক্রান্ত বা এনাফিলেক্সিসের মতো হতে পারে।"
আরও দুটি ঘটনা সামনে এসেছে
কমিটি মোট ৩১টি মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা করেছে। সেগুলির মধ্যে ১৮টিতে টিকাকরণ সংক্রান্ত কোনও কারণ দেখা যায়নি। তবে দুটি ঘটনায় একটু সন্দেহ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কোনও প্রমাণ কমিটির হাতে আসেনি। রিপোর্টে বলা হয়েছে এনাফিলেক্সিসের আরও দুটি ঘটনা সামনে এসেছে। তাঁদের ১৬ ও ১৯ জানুয়ারি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে একজনের বয়স ২২ ও অপরজনের পয়স ছিল ২১ বছর। ওই দুইজনের মধ্যে একজনকে দেওয়া হয়েছিল কোভিশিল্ড, অপরজনকে দেওয়া হয় কোভ্যাকসিন। তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁরা সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। এই বিষয়ে এনকে অরোরা জানাচ্ছেন,হাজার হাজার মানুষের মধ্যে ১-২ জনের অ্যালার্জি সংক্রান্ত প্রতিক্রিয়া হয়। তিনি বলেন, "যদি টিকাকরণের পর এনাফিলেক্সিসের (Anaphylaxis) মতো উপসর্গ দেখা দেয় তবে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন। ৩০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের মধ্যে ১ জনের এনাফিলেক্সিস বা গুরুতর অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।"