বর্তমানে দেশে করোনার যা পরিস্থিতি তাতে শিশুদের স্কুল খোলা উচিত কি না তা নিয়ে চলছে জোর পর্যালোচনা। তবে এখনও এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। অন্তত স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক সূত্র অনুসারে মিলছে এমনটাই খবর। সূত্রের খবর, স্কুল খোলার বিষয়ে এখনও কোনওরকম আলোচনা হয়নি। সূত্রের মাধ্যমে আরও জানা যাচ্ছে যে, ভাবনাচিন্তা করেই এই ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি রাজ্য সরকারগুলির ওপরে ছাড়া হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে যে, তৃতীয় ঢেউ কতটা গুরুতর হবে সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় সরকার। এক্ষেত্রে আরও বলা হয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে শিশুরা যে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তেমন কোনও আশঙ্কা নেই, তবে ট্রান্সমিশন নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।
আজতক/ইন্ডিয়া টুডে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পালের কাছে জানতে চায়, রাজ্যের স্কুলগুলি খোলার জন্য কি টিকা কর্মীদের বিশেষ কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? তিনি বলেন, স্কুলগুলি দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ, যা নিয়ে সকলে চিন্তিত। সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী, বেশকিছু শিক্ষকের বয়স ১৮ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে। সেক্ষেত্রে এই বিষয়টি পুরোপুরি রাজ্য সরকারগুলির ওপরে নির্ভর করছে যাতে তারা টিকাকরণে গতি এনে ও অগ্রাধিকার দিয়ে স্কুল খোলার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি হল, স্বাস্থ্যমন্ত্রক স্কুলগুলির পিছিয়ে যাওয়ার দায় নেবে না। উদ্বেগজনক বিষয় হল, যখন টিকাকরণ অভিযানের বিষয়টি আসে, তখন দেশের একটি বড় অংশের মানুষ সামনে চলে আসেন। কেন্দ্রীয় সরকার এই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত নয়। প্রসঙ্গত স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রকের খবর অনুযায়ী, দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মাত্র ১০ শতাংশকে এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ টিকা দেওয়া হয়েছে।